ট্রাইব্যুনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হলো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৭
জুলাই-অগাস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির দায়’ প্রাথমিকভাবে তদন্তে পাওয়া গেছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারসহ তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এক মাসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদন গ্রহণ করে আসামিদের কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘তারা যে অপরাধ করেছে, এগুলো শয়তানও করতে ভয় পাবে।’
শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলি করে ছাত্র হত্যা, গুম করা, আয়নাঘরে আটক, নির্যাতন, গণহত্যা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র, লাশ পুড়িয়ে দেয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইসলাম।
শুনানি চলাকালে দুই আসামি এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ও গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ‘আসামির ডক’ থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ চিৎকার করে অস্বীকার করেন।
ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে যে চিত্র
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি প্রিজনভ্যানে করে পুলিশের ছয়জন ঊর্ধ্বতন সাবেক কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এই ভ্যানে করে যাদের আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির মিরপুরের সাবেক উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার সাভার সার্কেলের শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক আরাফাত হোসেন।
এরপর আরেকটি প্রিজন ভ্যানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাদের কিছুক্ষণ হাজতখানায় রাখা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে থাকা আসামিদের জন্য বরাদ্দকৃত ডকে একে একে তাদের হাজির করা হয়।
এ সময় বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় সাবেক সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে। পাশে বসে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে গল্প করতে দেখা যায়। বারবার চেয়ারে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল আহসানকে। সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
শুরুতেই জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার ট্রাইব্যুনালকে জানান, তাদের একটি আবেদন রয়েছে। ওকালতনামায় তাদের ক্লায়েন্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন।
এ সময় আবেদনের একটি কপি চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের হাতে দিতে দেখা যায়। পরে আদালত আহসানের আইনজীবীকে শুধুমাত্র আজকের জন্য এজলাস কক্ষেই ওকালতনামায় জিয়াউল আহসানের স্বাক্ষর নেয়ার অনুমতি দেন। একইসাথে পরবর্তীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আহসানের সিনিয়র আইনজীবী এম আই ফারুকী এ সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানি করতে উদ্যত হলে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ সময় ট্রাইব্যুনালকে জানান, শুনানি করতে হলে তাদেরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু মাত্রই তারা এ আবেদনের কপি পেয়েছেন।
এ দিন আহসানের আইনজীবী ছাড়াও অন্য আসামিদের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের পাস থাকলেও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান। পরে ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে এসব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। একইসাথে অনেক সময় বেশি আসামি থাকলে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হয় বলে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল।
‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির দায়’
এরপর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শুনানি শুরু করে ট্রাইব্যুনালকে জানান, তদন্ত সংস্থা প্রাথমিক তদন্তে যে অভিযোগ পেয়েছে তাতে এই কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেরই ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির দায়’ রয়েছে।
তাজুল ইসলাম শুনানিতে পৃথক পৃথকভাবে আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা পড়ে শোনান।
প্রথমেই সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে যা পাওয়া গেছে তা পড়ে শোনান ইসলাম।
তিনি শুনানিতে বলেন, ‘স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের পতন পর্যন্ত তাদের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার নির্দেশে ও নেতৃত্বেই গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, ডিবি, পুলিশ আন্দোলনের সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, খুন লাশ পোড়ানোসহ নারকীয় কর্মকাণ্ড করেছে।’
‘তার নেতৃত্বেই পুলিশ বেপরোয়া আচরণ করেছে। সুপ্রিম কমান্ডার ছিলো সে। পুলিশের সবকিছুর দায়ই তার ওপর বর্তায়’ বলেন ইসলাম।
‘আয়নাঘরের কারিগর ও নাৎসি বাহিনীর কসাইয়ের সাথে তুলনীয়’
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক ছিলেন। তার আগে র্যাবেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত গুম-খুনের অভিযোগ রয়েছে, সবগুলোর সাথে জড়িত এই জিয়াউল আহসান।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পূর্বে গুম হওয়া তিনজনের নাম উল্লেখ করে ইসলাম বলেন, তাদেরকে ‘আয়নাঘর’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই আয়নাঘরের কারিগর জিয়াউল আহসান।
ইসলাম অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতাকারী অসংখ্য বিএনপি নেতা বা যারাই বিরোধিতা করেছে তাদের গুম করে খুনের সাথে জড়িত এই জিয়াউল আহসান।
‘বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করে খুনের সাথে জড়িত এই জিয়াউল আহসান। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী ব্যক্তিরাই এই গুম খুনের শিকার হয়। পরে যারা মুক্ত হয়েছেন তারা বলেছেন তাদেরকে যে টর্চার করা হয়েছে তা শুধুই নাৎসি বাহিনীর নির্মমতার সাথে তুলনীয়’ বলেন ইসলাম।
‘তাকে শুধু সার্বিয়ার কসাই রাটকো মালদিক এবং রাদোভান কারাদজিকের সাথে তুলনা করা যায়,’ তিনি বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দফায় দফায় ইন্টারনেট বন্ধের সাথেও আহসান জড়িত বলে অভিযোগ করেন ইসলাম। একইসাথে এনটিএমসির মহাপরিচালক থাকাবস্থায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোন কল রেকর্ড ফাঁস করার সাথেও আহসানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর ইসলাম।
‘তিনি এনটিএমসিতে থাকাকালীন অনেক নিষিদ্ধ জিনিস বাংলাদেশে আমদানি করেছেন যেটা কিনা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ’ বলছিলেন ইসলাম। এ সময় আসামির ডকে থাকা জিয়াউল আহসানকে মুচকি হাসতে দেখা যায়।
‘আমি কখনোই আয়নাঘরে চাকরি করিনি’
শুনানির একেবারে শেষে জিয়াউল আহসান আসামির ডক থেকে চিৎকার করে বলেন, ‘মাই লর্ড, আমি বলতে চাচ্ছি আমি কখনোই আয়না ঘরে চাকরি করিনি। বারবার ফেসবুকের মাধ্যমে বলা হচ্ছে। মাই লর্ড ভুল বলা হচ্ছে। আমি যেখানে চাকরি করেছি সেটা হচ্ছে টেকনিকেল জিনিস। সেটা কেউ বুঝে না বলেই উল্টাপাল্টা কথা বলে। আমরা কারো কল রেকর্ড ফাঁস করিনি’ ট্রাইব্যুনালকে বলেন আহসান।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘তদন্ত চলছে, শেষ হলে আপনি ন্যায়বিচার পাবেন। আপনার কথা আমরা শুনবে, আইনজীবীর কাছেও জানাবেন। প্রয়োজনে আপনি তখন কথা বলতে পারবেন। আগে তদন্ত শেষ হতে দিন।’
‘আশুলিয়ায় পুলিশ ভ্যানে আন্দোলনকারীদের লাশ পোড়ানো হয়’
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে যেসব সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তা তুলে ধরেন।
এর মধ্যে মিরপুরের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলার সাবেক এসপি আব্দুল্লাহ আল কাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।
‘ঢাকা জেলার এসপির দায়িত্বে থাকাকালীন একটা স্পটেই শতাধিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আসাদুল ইয়ামিনকে গুলি করে পুলিশের এপিসি বাহন থেকে ফেলে দেয়া হয়। সারা দুনিয়া সে দৃশ্য দেখেছে। চিকিৎসা নিতে গেলে দেয়া হয়নি। তিন ঘণ্টা পর শহীদ হয় সে। পরিবারকে লাশ দাফনও করতে হয়েছে অজ্ঞাত স্থানে’ বলেন ইসলাম।
এসব ঘটনার নির্দেশ-দাতা ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহ আল কাফি এড়াতে পারেন না বলে জানান ইসলাম।
‘তার নির্দেশেই আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীর লাশ পুলিশ ভ্যানে পুড়িয়ে ফেলা হয়। যাতে সবাই মনে করে, আন্দোলনকারীরা পুলিশের লাশ পুড়িয়েছে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এটা করা হয়েছে’ বলেন ইসলাম।
এ ঘটনার ভিডিওসহ প্রমাণ তদন্ত সংস্থা পেয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান ইসলাম। একইসাথে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক আরাফাত হোসেনেরও এই ছয়জনকে পুড়িয়ে মারার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। ভিডিওতেই তাকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ইসলাম।
‘আমাকে বাঁচান, আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম’
এ পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ভুল করে গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে সাভারের ওসি বলে উল্লেখ করে অভিযোগ পড়ে শোনাতে শুরু করেন।
এ সময় মাজহারুল ইসলামের আসামির ডক থেকে চিৎকার করে কেঁদে বিচারকদের উদ্দেশে বলেন ‘আমাকে বাঁচান, আমি কখনোই সাভারে চাকরি করিনি। কখনোই সাভারের ওসি ছিলাম না। কোনো অপরাধ করি নাই। আমি গুলশানের ওসি ছিলাম।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম, আমার ছেলেও মিছিলে গেছে, আন্দোলনে গেছে মাই-লর্ড। আমি কোনো অপরাধ করি নাই। আমাকে বাঁচান’।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক শান্ত হতে বলেন। পরে ইসলাম জানান, একটা ভুল হয়েছে। তিনি সাভারের ওসি ছিলেন না, গুলশানের ওসি ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধেও হত্যা, গণহত্যার নির্দেশের দায় রয়েছে।
‘যাত্রাবাড়ীর নৃশংসতায় জড়িত’
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের বিরুদ্ধে অধীনস্থদের দিয়ে শত শত নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তদন্তে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম।
পরিকল্পনা ও সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটর দায় রয়েছে এই কর্মকর্তার বলেন ইসলাম।
ইসলাম বলেন, ‘যে পরিমাণ ডিজিটাল এভিডেন্স, ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি তাতে সবকিছু প্রমাণ করা যাবে। ১২ মিনিটের ভিডিও পেয়েছি, ৮৫০টি ভিডিও কম্পাইল করতে হয়েছে, কে কোথায়, কিভাবে কোথা থেকে কখন গুলি করলো, সবকিছু কাচের মতো সত্য করে আদালতের কাছে তুলে ধরব।’
শুনানি শেষে আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার তার ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ যাতে না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ করেন।
‘তাকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্ত।, বরখাস্ত নয়’ বলেন মিজ নাহার।
একইসাথে ‘আয়নাঘরে’ বা ডিজিএফআইতে জিয়াউল আহসান কখনো চাকরি করেন নি বলে জানান মিজ নাহার।
তবে কী বিষয়ে তারা আদালতে আবেদন করেছেন, সেটা জানাতে রাজি হননি।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা