একটি শহুরে সকাল
- জোবাইদুল ইসলাম
- ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
এক সকালে এই শহরের পথে ঘুরতে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য শহুরে সকাল কেমন হয় তা দেখা। প্রথমে পেটে রসদসামগ্রী দিয়ে তারপর হাঁটা শুরু করলাম। দেখলাম মানুষজন তাদের ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অথবা বসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে তারা। গাড়ি আসতেই তাতে উঠে বসছে। পথে পথে পত্রিকাভর্তি সাইকেল। হকার দ্রুত ছুটছে পত্রিকা পৌঁছে দেয়ার জন্য। সিটি করপোরেশনের ঝাড়ুদার মহিলারা রাস্তা পরিষ্কার করছে। ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যাচ্ছে কিছু শিক্ষার্থী। এতক্ষণ রাস্তায় তেমন গাড়ির আনাগোনা ছিল না। এখন গাড়িগুলো দ্রুত গতিতে ছুটছে। দোকানপাট এখনো বন্ধ। কারণ যান্ত্রিক এই শহরের যান্ত্রিকতা পুরোপুরি শুরু হতে আরো কিছু সময় বাকি। কিছু দূর হাঁটতে দেখা গেল মর্নিং এক্সারসাইজ করতে বের হওয়া আঙ্কেল-আন্টিদের।
শহরের অপর নাম যান্ত্রিকতা। যান্ত্রিকতার অনন্য নিদর্শন এই শহরের মানুষগুলো। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরা। তারপর খাওয়ার পর্ব সেরে ঘুম। সকালে ওঠে আবার সেই একই রুটিন। এই শহর আসলে আমাদেরকে যন্ত্রমানব বানিয়ে ফেলেছে। একটি যন্ত্র যেমন প্রতিদিন সুইচ চাপার সাথে সাথে তার নির্দিষ্ট কাজগুলো করে যায় তেমনি সকাল হওয়ার সাথে সাথে যন্ত্রের মতো আমাদের নিত্যদিনের যান্ত্রিকতা শুরু হয়ে যায়। যান্ত্রিকতার এই শহরে পাখির কূজনে আমাদের ঘুম ভাঙে না; বরং গাড়ির হর্নের শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙে। গাঁয়ের স্নিগ্ধ রোদ্দুর ওঠা শান্ত সকালের সাথে একটি শহুরে সকালের বিস্তর ব্যবধান। এই শহরে নেই কোনো মায়া। সবই মিথ্যে আলোছায়া। এই শহুরে জীবনকে ছাড়তে চেয়েও ছাড়তে পারিনি। কোনো এক মিথ্যে মায়ায় আটকে গেছি শহুরে জীবনে। শহুরে জীবন প্রসঙ্গে পরিচিত একজন বলেছিল, এই শহরে একবার যে পা রেখেছে সে যেকোনোভাবেই আটকে যায়, হয় সৌভাগ্যে না হয় দুর্ভাগ্যে। আসলে এটিই বাস্তবতা। কারো কাছে শহুরে জীবন উপভোগ্য আর কারো কাছে দুর্ভোগ্য। যত যাই হোক, শহুরে জীবনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ। শহুরে জীবন উপভোগকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইতি টানলাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা