০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কেমন বাংলাদেশ চাই

-

সময় বদলের সাথে সাথে দেশের অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। যদি অতীতের সাথে বর্তমানের তুলনা করা হয়, তাহলে বদলটা অনায়াসে পরিলক্ষিত হয়। সেই সময় যোগাযোগের অসুবিধা, শিক্ষার অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব আরো বিভিন্ন সমস্যায় সবাই জর্জরিত ছিল। অনাহার, অজ্ঞতা আর কুসংস্কারে ছিল আচ্ছন্ন। কিন্তু বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির ছোঁয়া এখন দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। অতীতের মতো সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এখন জীবন হয়েছে অনেক সহজ।
পরিবর্তনের এই যুগে পরিবহন ব্যবস্থার হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নত। প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই কেনা-কাটা, আদান-প্রদান, অর্থ উপার্জন প্রভৃতি সম্ভব হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। পরিবহনের সুব্যবস্থা মানবজীবনের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। তবে এ অত্যধিক যানবাহনে পথে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কয়েক মিনিটের পথে যাতায়াতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কখনো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এসব কিছু বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় পরিবহন তুলে দেয়াই শ্রেয়। এভাবে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশও হতে পারে যানজটমুক্ত।
উন্নত দেশগুলোতে ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সবাই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। নিয়মকানুন মেনে চলেন। কিন্তু আমাদের দেশে গাড়ি চালনা, রাস্তা পার হওয়া এ রকম ক্ষেত্রে কেউ কোনো নির্দেশনা মেনে চলে না। ত্রুটিযুক্ত যানবাহন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, জনগণের উদাসীনতা প্রভৃতির জন্য এত বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। নিজস্ব সচেতনতা আর দায়িত্ববোধ জাগরণের মাধ্যমে এ রকম দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
দেশীয় পণ্যে ভেজাল মেশানো বাংলাদেশের এক নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসৎ উদ্দেশ্যে পণ্যে ভেজাল মেশায়; যে কারণে নিজেরাই সেই পণ্য ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করি আর বিদেশী পণ্য কিনতে বেশি আগ্রহবোধ করি, যা মোটেই কাম্য নয়। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে এ ধরনের সমস্যা রোধ করা সম্ভব।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ আজো জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তাদের কোনো বিরাম নেই। এসব সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষানামক সম্পদের দীক্ষাপ্রাপ্ত হলে এরাও রূপান্তর হতে পারেন মানব সম্পদে। যেখানে কোনো শিশুই এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না।
এমন দেশের স্বপ্ন রোজ ভাসে, যে দেশের কোনো মানুষই অনাহারে থাকবে না, সত্যিকার অর্থে সবাই শিক্ষিত হবে, দেশের প্রতিটি কোণায় শালীনতা বজায় রেখে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে। শিক্ষিত বেকারসমাজ ভেঙে নতুন স্বয়ংসম্পূর্ণ সমাজ গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে পরিণত হবে উন্নত রাষ্ট্রে। হ
লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাবি
কঁষংঁসধৎরংযধধ@মসধরষ.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গা প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কোপালেন যুবলীগ কর্মী ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিবছর ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে’ গাজার জাবালিয়ায় হামাসের হামলায় ১৫ ইসরাইলি সেনা হতাহত ইসরাইলের ৫ এলাকায় হিজবুল্লাহর একযোগে হামলা শেষ মুহূর্তে জনমত সমীক্ষায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা! সোনার ছেলে বড় হয়েও যেন সোনার ছেলেই থাকে : সেলিম উদ্দিন সাফজয়ী ক্রিকেটারদের যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ কুয়াকাটায় নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা ইরাবের নতুন সভাপতি ফারুক, সম্পাদক সালমান প্যাটেলের ধাঁধায় সেঞ্চুরি হাতছাড়া গিলের, বড় লিড তুলতে ব্যর্থ ভারত

সকল