০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

শিক্ষক সংগঠন ‘বাসমাশিস’ নির্বাচন

-

২৫ অক্টোবর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ২০১৯। এ নির্বাচন ঘিরে শিক্ষকদের ক্ষোভ যেমন দিন দিন বাড়ছে; তেমনি আগামী নেতৃত্বের কাছে তাদের প্রত্যাশা অনেক। অভিযোগ ছিল, বিগত কেন্দ্রীয় কমিটি শিক্ষকদের দাবি আদায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ হয়ে সরকারের কাছে কোনো দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়নি।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার দাবি দীর্ঘ দিনের। তা এখনো সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; চাকরির মেয়াদ আট বছর পূর্তিতে তাদের নবম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। তবে তা শূন্যপদসাপেক্ষে মোট পদের ৫০ শতাংশ। এখনো তারও সফলতা লক্ষ করা যায়নি। শোনা যাচ্ছে, চলমান এ প্রক্রিয়া অচিরেই প্রজ্ঞাপন আকারে আসছে। শূন্যপদসাপেক্ষে আট বছর পূর্ণ হলে ৫০ শতাংশ শিক্ষক সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদায়িত হবেন ঠিকই, তবে পদের এ পরিবর্তনে তারা কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না। যেহেতু তারা আগে থেকে নবম গ্রেডের বেতন-ভাতাদির সুবিধা ভোগ করছেন।
সরকারি চাকরির বিধি মতে, একজন কর্মকর্তা যখন পদোন্নতি পেয়ে অন্য পদে উন্নীত হন; তখন তার বেতন গ্রেডেরও পরিবর্তন হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বঞ্চিত না করে নতুন করে সরকারকে ভাবতে হবে। তা ছাড়া তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি, এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড করার। নন-ক্যাডার থেকে আসা শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে এখনো মাঠে রয়েছেন। অথচ শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিটি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। এর কিছু অন্তরায়ও আছে, সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তারা সরকারের কাছে নিজেদের দাবি উপস্থাপন করতে পারেননি। আবার নিজেদের মধ্যে একশ্রেণী এর বিরোধিতা করছেন।
আলাদা অধিদফতর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রাণের দাবি। এটি বাস্তবায়ন করলে সরকারের কোনো লাভ-লোকসান নেই। বরং মাধ্যমিক শিক্ষায় আরো গতিশীলতা আসবে বলে আমরা মনে করি। মাধ্যমিকপর্যায় থেকে উঠে এসে শিক্ষকেরা প্রশাসনিকপর্যায়ে কাজের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একই অধিদফতরের অধীন, সেখানকার সব বড় পদে সমাসীন কলেজ শিক্ষকেরা। মাধ্যমিকপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী পদগুলোতে চাইলে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারেন। বাস্তবে এটিই হচ্ছে। তাই শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। তারা এ অবস্থার আশু পরিবর্তন চান। এবারের নির্বাচনে তারাই উঠে আসবেন বলে প্রত্যাশা, যারা ভোটারদের এসব বিষয় বোঝাতে সক্ষম হবেন। একসাথে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে মাঠে থাকবেন।
অন্য দিকে প্যানেলগুলোর মধ্যেও সমস্যা বহুবিধ। নেতৃত্বের ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা বিদ্যমান। আছে যোগ্য ব্যক্তির অভাব। তাই যেকোনো সময় নির্বাচনের মোড় ঘুরে যেতে পারে। কারা বিজয়ী হবেন এটি আগাম বলা মুশকিল। তবে সাধারণ শিক্ষকেরা চান, সৎ যোগ্য ও এমন নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক যারা তাদের দাবিগুলো নিয়ে মাঠে থাকবেন। আঞ্চলিক কমিটিগুলো কেন্দ্রীয় কমিটিকে নানামুখী চাপে রাখবে, যাতে বিগত কমিটিগুলোর মতো নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে না পারে। হ
লেখক : সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রার্থী
বরিশাল অঞ্চল

 


আরো সংবাদ



premium cement
৩ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম বইমেলায় ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি সময় পরিবর্তন হচ্ছে, থাকছে না শিশুপ্রহর রাখাইন স্টেট : ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার চিন্তা করছে সরকার ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছে ছাত্ররা আর তাদের সাহস জুগিয়েছেন শিক্ষকরা মশিউর রহমানের নতুন বই ‘টেকসই সমৃদ্ধিতে আল-কুরআনের দর্শন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এপ্রিলে ঢাকা সফর করতে পারেন : তৌহিদ আ’লীগের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতা আগামী বছর থেকে : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক ছাত্রদের যৌক্তিক অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বনাম ইরানের অগ্রযাত্রা

সকল