০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ৭ শাবান ১৪৪৬
`

হকারমুক্ত ফুটপাথ পাবো কি?

-

ঢাকা মহানগরের প্রতিটি সড়কের পাশেই জনসাধারণের নিরাপদে চলার জন্য দুই সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে সুন্দর ফুটপাথ নির্মাণ করে দিয়েছে। সড়কের দুই পাশেই দৃষ্টিনন্দন টাইলস করা এ ফুটপাথ জনগণের নিরাপদে চলাফেরার জন্য নির্মাণ করা হলেও জনগণ তা করতে পারছে। এগুলো এখন পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে গেছে। ঢাকা মহানগরের ফুটপাথে দেখা যায় হকাররা চায়ের দোকান, শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি এবং কাঁচা তরকারি ও ফলের দোকান দিয়ে দিব্যি বসে দোকানদারি করছে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখা গেছে মিরপুর এক নম্বরের শাহআলী গভর্নমেন্ট মার্কেটের (সিটি করপোরেশন মার্কেট) ফুটপাথে। এখানে ময়লার ডাস্টবিনের কাছে কর্মকারের দা-বঁটির দোকানটি ফুটপাথের আশি ভাগ জুড়ে রয়েছে। যেকোনো সময় মহিলাদের শিশুসন্তান কোলে নিয়ে এখান দিয়ে হেঁটে চলার সময় খেলার ছলে হাত বাড়ালেই বঁটিতে হাত কেটে দুই ভাগ হয়ে যাবে। তা ছাড়া যদি হঠাৎ কারো সাথে ঝগড়া বাধে তাহলে এখান থেকে যে কেউ দা-বঁটি তুলে নিয়ে খুনখারাবি ঘটিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া এই মার্কেটটি ফুটপাথ হকার দিয়ে এমনভাবে দখল করা হয়েছে, তাতে দু’দিক থেকে আসা যাওয়া করতে গেলে একের সাথে অন্যের ধাক্কা লাগে। অথচ এই মার্কেটের পাশে সড়কে দেখা যায় প্রায় সময়ই শাহআলী থানার পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশদেরকে দেখা যায় হকারদের সাথে কথাও বলতে। পত্রিকায় লেখা ছাপা হওয়ার পর ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম নিজে নেতৃত্ব দিয়ে হকার উচ্ছেদ করেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এমপি যাদের উচ্ছেদ করেন, তারা আবার তিন দিন যেতে না যেতেই কী করে আরো জাঁকজমকভাবে দোকান নিয়ে বসে।
এ ব্যাপারে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার সঙ্কটই আমার মনে হয় কাজ করছে। তা না হলে এমপি উচ্ছেদ করার পর কিভাবে হকাররা দোকান বসাতে সাহস পায়। এ অবস্থা সারা ঢাকা শহরেই দেখা যায়। এমন কোনো ফুটপাথ নেই যা হকারদের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত আছে। জনগণের জন্য নির্মাণ করা ফুটপাথ দিয়ে এখন আর জনগণের চলার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। জনগণ এখন কিভাবে সড়ক দিয়ে চলাফেরা করবে। জনগণ কি কোনো দিন হকারমুক্ত ফুটপাথ পাবে? হ
লেখক : কবি ও সমাজসেবী, গজারিয়া, ভাঙ্গা, ফরিদপুর

 


আরো সংবাদ



premium cement