ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ
- ফাতেমা মাহফুজ
- ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
একটি মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ সৎ ও দৃঢ় থাকলে তিনি সহজেই ছোটখাটো বিপদ ও পাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন। শুধু বাঁচানোই নয়, বরং অন্যকেও বাঁচাতে পারেন। খেয়াল করলে দেখা যাবে, সমাজে দিন দিন অপরাধ বাড়ছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে। তো, একটি ছেলে বা মেয়ের চারিত্রিক সমস্যা না থাকলে এমন বিপদ হওয়া কি সম্ভব?
বিস্তারিত বললে বলা যায়, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শÑ এ দুটো বিষয় প্রকাশ পায় মানুষের চরিত্রে। যেকোনো ছেলে বা মেয়ে প্রাইভেট বা কলেজে পড়তে গেলে, কর্মক্ষেত্রে কিংবা অনলাইনেই হোক, কেউ দুর্বল করতে ফুসলালেই অমনি লেগে যেতে হবে? কিংবা পাল্টা লেপটে যেতে হবে? কৌশলবশত চুপ থাকা যায় না? যে যাই বলুন না, গায়ে না মাখলেই হয়। অফিসের বস হোক বা স্যার, প্রমোশনের জন্য হোক বা পরীক্ষায় নম্বর না দেয়ার ভয় দেখিয়ে হোক, যেকোনো মেয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলবেন? শরীরী উৎসবে রাজি হতে হবে? তাহলে বলতে হয়, সেই নারীর মধ্যে সমস্যা আছে। হ্যাঁ, এটি বলা অত্যুক্তি হবে না, যখন কোনো নারী পরপুরুষের সাথে দৃঢ়কণ্ঠে কথা না বলে, ঢঙ করে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে কথা বলেন (পরোক্ষভাবে যেটা অন্যের হৃদয়ে ব্যাধির সৃষ্টি করে)। তা ছাড়া অপ্রয়োজনীয় আলাপ, হৈ-হুল্লোড়, বেপরোয়া মনোভাব, কথা, কাজ ও পোশাকে উগ্রতাÑ ছেলেমেয়ে উভয়ের জীবনে বিপদ ডেকে আনে। কারণ, এগুলোর মাধ্যমেই যে কারো মানসিক দিক, ভাবমর্যাদা তথা আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়।
পোশাকের উগ্রতা বলতে মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীরে ওড়না না থাকাই বুঝতে হবে। কারণ, কিছু মেয়ের মানসিকতা হচ্ছেÑ ইচ্ছে করে নিজের সৌন্দর্য ছেলেদের উদ্দেশে ফুটিয়ে তোলা। ছেলেরা তার দিকে একটু তাকিয়ে থাকুক তারা সেটাই চান। সুতরাং চরিত্রে সমস্যা! আবার ছেলেরাই বা কম কিসে? ইদানীং প্যান্টের স্টাইল দেখলে তা বুঝতে কষ্ট হয় না ছেঁড়া থাকা তো সেটা পুরনো স্টাইল, লক্ষ করলে দেখা যাবে, শুধুই যেন সামনের জিপারের জন্য কাপড় বরাদ্দ থাকে। প্যান্টের ফ্যাশানটাই এমন যে, সতর পুরোপুরি ঢাকছে না।
তা ছাড়া কিছু ছেলের সমস্যা হচ্ছেÑ কোনো মেয়ে দেখলেই আর হুঁশ থাকে না। এক নজরেই সব কিছু দেখা হয়ে যায়, কখনো জোর খাটানো কিংবা আগবাড়িয়ে কথা বলার জন্য উতলা, আর যদি দুয়ে দুয়ে মিলে যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। বগলদাবা করে ঘুরলে, অতঃপর নিবিড় সম্পর্ক করতে পারলে সমস্যা কোথায়? এসব আচরণে যাদের এসবে সমস্যা হয় না, তাদের চরিত্রে মারাত্মক সমস্যা আছে। দেখা যায়, পরবর্তীকালে এসব বেডমেটরাই তাদের জীবনে ধ্বংস ডেকে আনে।
যা হোক, এসব থেকে বাঁচার জন্য সমাধান একটাই, নিজের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ নৈতিকতার শক্ত পাটাতনে দাঁড় করানো। তা, এটা ঠিক রাখব কিভাবে? এর উত্তরে একটু স্মৃতিচারণ করা যেতে পারেÑ ছোটবেলায় শিখেছিলাম প্রিয় ব্যক্তিত্ব কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে হবেÑ রাসূলুল্লাহ সা:। কিন্তু কেন বলতে হবে, এর তাৎপর্য তখন বুঝিনি, ভেবেছিলাম... মুসলিম বলে হয়তো এটি বলতে হবে। তবে পরবর্তীকালে বুঝেছি। আসলে আমরা পড়াশোনা করি না বলেই এই দশা। একটা মানুষ যদি রাসূলুল্লাহ সা:-এর অনুসারী হন, দিনে একটা হলেও পবিত্র কুরআনের আয়াত নিজভাষায় স্বভাবে চলার চেষ্টা করেনÑ তাহলে তিনি তখন নিজ ইচ্ছায় বলবেন আল্লাহর আয়াতের নিবিড় অনুসরণেই পৌঁছানো যায় মানবতার সর্বোচ্চ শিখরে। সুতরাং, জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়তে হলে চারিত্রিক সমস্যা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, অপরাধ হবেই, আর সেসব অপরাধের পেছনে থাকবে জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে করে আসা ভুলগুলো। হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা