প্রেসক্লাবের সামনে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগে থেকেই অবস্থান থাকলেও সোমবার সকাল থেকে সেটি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশের সদস্যরা সড়কের দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বারবার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা জনসাধারণকে সরিয়ে দিচ্ছে। সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে পুলিশের পিকআপ ও রায়টকার দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তবে অন্য দু’জন সমন্বয়ক অভিযোগ করেছেন, জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে এই বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর পুলিশ হেফাজত থেকে একটি ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলন তুলে নেয়ার বার্তা দেন।

একটি লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ঊদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাব আহত ও নিহত হয়েছে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা স্থাপনায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

‘আমাদের যৌক্তিক দাবি ছিল কোটা সংস্কার, যা সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’

অন্যদিকে আরেকজন সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ একটি ক্ষুদে বার্তায় বলেছেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের জিম্মি ও ব্ল্যাকমেইল করে এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবৃতি আদায় ছাত্রসমাজ মেনে নিবে না।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।