যেভাবে জাল টাকা তৈরীতে দক্ষতা অর্জন করে জিসান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮
রাজধানীতে জাল নোট ও টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ জিসান হোসেন রিফাত নামের একজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১০ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকাসহ তাকে আটক করে।
গ্রেফতার জিসান হোসেন রিফাত (১৯) যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালীর বাসিন্দা মো: দিদারুল আলমের ছেলে।
তার থেকে দু’লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার মূল্যমানের জাল নোট (যার মধ্যে ১০০০, ৫০০, ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকা সমমানের জাল নোট), ১টি মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১টি কালার প্রিন্টার, ৪টি হার্ডডিক্স, ১টি মাউজ, ১টি কী-বোর্ড, ৪টি ক্যাবল, ২টি স্কিন প্রিন্টিং ফ্রেম, ১টি জাল টাকা কাটার কাঠের বোর্ড, ৮টি এন্টি কাটার ব্লেড, ১টি কাঁচি, ২টি ফেবিকল আঠা ও জাল টাকা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ২৬৪ পিস সাদা কাগজ জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীস্থ র্যাব-১০-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার- সিপিসি-১, পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম জে সোহেলসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, জিসান সংঘবদ্ধ জাল টাকা প্রস্তুতকারি চক্রের ব্যবহৃত টেলিগ্রাম অ্যাপস, ইউটিউব ও গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের সাহায্যে জাল টাকা তৈরির সার্বিক দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি উচ্চাভভিলাষী অভিপ্রায় ও কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে জাল টাকা প্রস্তত করার পরিকল্পনা করে। পরে তিনি জাল টাকা তৈরি এবং জাল টাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হয়।
জিসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে এবং জাল নোট তৈরি ও সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে অভিনব কায়দায় জাল নোটগুলো বিক্রয় করতেন। তিনি প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন।
জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রটি মাছ বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করছিল। এছাড়াও জিসান অধিক জন-সমাগম অনুষ্ঠান বিশেষ করে বিভিন্ন মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানীর পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছেড়েছিল বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র : বাসস