জুরাইনে মোটরসাইকেল আটকের জেরে হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২২, ২০:৫২
রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় জনতার হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ গিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহতরা হলেন সার্জেন্ট আলী হোসেন, শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীর কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মিথ্যা কথা বলে জনগণকে পুলিশের উপর ক্ষেপিয়ে হামলা চালায়।
অপরদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পেছনে থাকা মোটরসাইকেল চালকের স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার পর জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে মোটরসাইকেল চালক রনি তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভূঁইয়াকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখারুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং পোশাক পরা অবস্থায় অন ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেয়া হলে সাথে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।
তখন আশপাশে থাকা সুযোগসন্ধানী লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করে এবং পুলিশ বক্স গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে। এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে। সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশ সদস্যদের মারধর ও ধাওয়া করা হয় বলে জানান তিনি। এক পর্যায়ে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
আহতদের মধ্যে সার্জেন্ট আলী হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক মো: রনি, স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভূঁইয়াকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে জুরাইন ট্রাফিক বক্সের সামনে যান রনি। সময় দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তা আলী হোসেন তাকে থামার সংকেত দেন। তার উল্টো চলা ও ট্রাফিক আইন না মানার ব্যপারে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা রনির স্ত্রী পুলিশের সাথে তর্কে জড়ান। পরে ট্রাফিক পুলিশ ওই নারীকে পুলিশ বক্সে নিয়ে লাঞ্ছিত করলে তিনি চিৎকার দিতে শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন প্রতিবাদ করলে তাদের উপরও চড়াও হয় পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশপাশের জনগণ জড়ো হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্যামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের উপরও হামলা হয়। এতে সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রনি থানায় মামলা করতে গেলে তাকে আটক করে। এরপর তাকে ছাড়াতে গিয়ে আটক হন রনির স্ত্রী ও শ্যালক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা