উত্তরায় কাভার্ডভ্যান চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় গাড়িচালক গ্রেফতার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ এপ্রিল ২০২২, ২০:২৩
রাজধানীর উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পহেলা বৈশাখের দিন ভোরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত কাভার্ডভ্যান চালককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওই চালকের নাম মো: বশির (২৬)। তিনি ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর গ্রামের মো: নাছির উদ্দিনের ছেলে।
এসময় তার কাছ থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি মোবাইল ফোন, নগদ ১ হাজার ৭৫০ টাকা এবং একটি ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) র্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) নোমান আহমদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে র্যাব সদর দফতর গোয়েন্দা শাখা র্যাব-১ ও র্যাব-৮-এর একটি যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো: বশিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
নোমান আহমদ জানান, মো: বশিরের ব্যবহৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা যানের (মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার) জন্য প্রযোজ্য। তার উপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। ভারী যানবাহনের লাইসেন্স ছাড়াই আসামি মো: বশির বিগত চার বছর ধরে কাভার্ডভ্যানটি চালিয়ে আসছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, কাভার্ডভ্যানটির মালিক ভোলা জেলার বাসিন্দা মো: জাকির ঢাকার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের একজন দালাল। তিনি বিভিন্ন গাড়ির কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাজ করিয়ে দেয়ার জন্য পরিচিত দালাল। ঘটনার পর থেকে মো: জাকির পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে এনামুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মোটরবাইকে তার ফুফু হনুফা বেগম (৪৫) ও ছোট ভাই অনিককে (১৮) নিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার রায়েরবাজার এলাকা থেকে উত্তরা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরস্থ রবীন্দ্র সরণি রোডের আমির কমপ্লেক্সের সামনে এলে পেছন দিক থেকে ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৮-৯৫৯৩ নম্বরের একটি কাভার্ডভ্যান বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের বহনকারী মোটরবাইকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় এবং কাভার্ডভ্যানের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এনামুল হক ও তার ফুফু হনুফা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অনিককে (১৮) গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) মো: ইয়াছিন গাজী কাভার্ডভ্যান চালককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাসসকে জানান, র্যাব সদস্যরা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির চালক বশিরকে গ্রেফতার করে থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বশির ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা