২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ডা: সাবিরা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার, দাবি মামার

কাজী সাবিরা রহমান লিপি - ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীতে নিজ বাসা থেকে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার হওয়ার পর তার মামা হারুন অর রশীদ মৃধা অভিযোগ করেছেন, ডা: সাবিরা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেন ভবনের নিজ বাসা থেকে ডা: সাবিরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ডা: সাবিরা ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে।

বিকেলে ওই বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হারুন অর রশীদ মৃধা বলেন, ‘আজ সকালে ফোনে জানতে পারি আমার ভাগ্নি কাজী সাবিরা রহমান লিপি মারা গেছে। এরপর এই বাসায় এসে দেখি লিপির রুমে ছাই পড়ে আছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ মনে করে, সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ, এটি পরিকল্পিত হত্যা।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিপির দুই ভাই আছে অস্ট্রেলিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছে লিপি। সবশেষ গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিল সে।’

জানা যায়, তিনটি কক্ষের মধ্যে একটিতে ডা: সাবিরা একাই থাকতেন। বাকি দুটি কক্ষ সাবলেট (ভাড়া) দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘লিপির সাথে একটি মেয়ে সাবলেট থাকতো বলে জানি। মেয়েটি লেখাপড়া করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিপির মায়ের বাসা পাশেই। ছেলে-মেয়ে দুটি ওই বাসাতেই থাকত। ছেলের বয়স ২১। ছেলেটি কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।’

পারিবারিক কলহের কোনো ঘটনা ছিল কি-না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমার জানা মতে তার পরিবারে কোনো কলহ ছিল না।’

প্রশাসনের বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের আসল সত্য উদঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement