গত এক সপ্তাহে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা শনাক্ত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মার্চ ২০২১, ১৫:৫১
দেশে গত এক সপ্তাহে মোট ২৮ হাজার ৬৯৬ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মহামারী শুরুর পর থেকে সাত দিনে শনাক্ত রোগীর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ জুন থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে মাত্র ৩০ দিনে এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই এই সাত দিনে ২৬ হাজার ৬৭১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা এত দিন সাত দিনে শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল।
গত সোমবার এক দিনে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবরে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যায়। এখন আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়সে তরুণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন সবাই বাইরে বের হচ্ছে বিশেষ করে ইয়াংরা এখন অনেক বেশি বের হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।’
সংক্রমণ বাড়ার সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ পর্যন্ত মৃত্যুর মোট সংখ্যা নয় হাজার ছুঁইছুঁই করছে। এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর ফেব্রুয়ারির পুরোটা সময় ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে বাড়ার প্রবণতায় ১৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ বাড়লেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুরসহ ২৯টি জেলাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সরকার সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি গণ পরিবহনের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা: নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমরা যে চর্চাগুলো করেছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে শিষ্টাচারগুলো শিখেছি, গত দুই-তিন মাসে আমরা চরম আত্মতুষ্টিতে ভুগেছি। এ কারণেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি।’ করোনা মোকাবেলায় সবাইকে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন ডা: নাজমুল ইসলাম।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা