বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব : জি এম কাদের
- সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৯ আগস্ট ২০২০, ২১:২৬
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আওয়ামী লীগের এক নেতা নন তিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের নেতা। তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন তৎকালীন সাত কোটি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ বুকে ধারণ করে তার জীবনী থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের উপজেলা জাতীয় পার্টি অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
সোনারগাঁও উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (চট্টগ্রাম বিভাগ) এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খান জুয়েল, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, আবু নাঈম ইকবাল, আবু সাঈদ স্বপন, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, সাইদুল ইসলাম, এমএ মুহিত প্রমুখ।
জিএম কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী শুধু আওয়ামী লীগ একা পালন করতো। আমরা গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু সারা বাংলার নেতা। তিনি দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি। তাই বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় পার্টি দলগতভাবে সারাদেশে পালন করবে। সে সময় অনেকে আমার আমাকে সাধুবাদ জানিয়ে ছিলেন আবার অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। আজ খোলাসা করে বলতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই দিন নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি বাঙালি জাতির পিতা তাই আমরা জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কোনো খারাপ মন্তব্য করেননি।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ব্যর্থ হয় তবে আগামীতে জাতীয় পার্টি দেশের অগ্রগতির জন্য এককভাবে রাজনীতি করে যাবেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম এ দেশে না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ পেতাম না। তিনি কোনো দলের নেতা নন। তিনি সকলের নেতা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো এত বড় কোনো নেতা নেই। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুস্তক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের ২১ জেলাকে ৬৪ জেলায় রূপান্তরিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলের, ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর নয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের সকলের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে জন্মগ্রহণ না করলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ পেতাম না। আমরা কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করায় আমি আজ এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের কথা বলতে পারছি। স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দোসররা এখনো এদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা