বিবিসির সাংবাদিকদের বর্ণনায় বনানীর আগুন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৬:১৩
বনানী এলাকার এফ আর টাওয়ারের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে প্রথম পৌঁছানো সাংবাদিকদের একজন বিবিসির সংবাদদাতা তাফসীর বাবু।
তিনি ঘটনার একটি প্রাথমিক বিবরণ দিয়েছেন-
হঠাৎ দেখি লোকজন দৌড়াচ্ছে
দুপুর একটার দিকে, ব্যক্তিগত কাজে হেটে আমি বনানী বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম।
বনানী বাজারের আগের গলিতে হঠাৎ দেখি লোকজন দৌড়াচ্ছে।
দেখলাম কামাল আতাতুর্কের ঠিক আগের গলিটাতে আউয়াল সেন্টারের দিকে প্রচুর মানুষ।
দেখলাম, একটা ভবন থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। শুরুতে আগুন দেখতে পাইনি।
খেয়াল করে দেখলাম পাঁচ বা ছয় তলার দিক থেকে জানালা দিয়ে আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন কিছুক্ষণের মধ্যে বেড়ে গেল।
ফায়ার সার্ভিস আসতে কিছুক্ষণ সময় লাগলো। কিন্তু এরইমধ্যে লোকজন বেড়ে যাচ্ছিলো।
তাদের চাপে আমি নিজেই কিছুটা পিছিয়ে আসি আমি। কিন্তু আবার অল্পক্ষণের মধ্যেই চিৎকার শুনতে সামনে এগোই।
রশি বা তার ছিঁড়ে পড়ে গেলেন একজন
তাফসীর বাবু জানান, তিনি দেখতে পেলেন আট-নয়তলা থেকে মানুষ রশি অথবা বৈদ্যুতিক তার বেয়ে নামার চেষ্টা করছে।
মুহূর্তের মধ্যে আমার চোখের সামনেই হাত ফসকে একজন নিচে পড়ে গেলেন।
তার আর্ত-চিৎকার শুনলাম। কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে আমি অন্তত দুইজন মানুষকে রশি বা তার ছিড়ে পড়ে যেতে দেখেছি।
‘দোস্ত উপরে ওঠ! হেলিকপ্টার আইছে!’
ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর থেকে মানুষের বাঁচার আকুতি দেখেছি আমি।
কিন্তু পানি ছিটানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এর মধ্যে ওই ভবনে কাজ করেন এমন একজন তার সহকর্মী-বন্ধুকে বারবার ফোন করছিলেন।
তিনি বারবার বলছিলেন, ‘দোস্ত উপরে ওঠ! হেলিকপ্টার আইছে!’
তার সহকর্মীর ফোনটি বারবারই রিসিভ হচ্ছিলো। কিন্তু ওপাশের কোন কথাই বোঝা যাচ্ছিলো না।
একজন নারী এসেছেন, কড়াইল বস্তি থেকে। তার ছেলে পঞ্চম তলায় এক প্রতিষ্ঠানে পিয়নের কাজ করেন।
ছেলের সঙ্গে মায়ের কয়েক দফা কথা হয়েছে।
ছেলে মাকে জানিয়েছে, সে তার অফিস থেকে ওপরে উঠতে বা নিচে নামতে পারছে না।
সেই মা রাস্তার ওপরে বসে চিৎকার করে কাঁদছেন।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা