২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মৃত্যুর ৭০ দিন পর আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত

নিহত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মো: নুরুন্নবী - ছবি : সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিহত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মো: নুরুন্নবীর (৪৭) লাশ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। ৬ আগস্ট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তার লাশ পড়েছিল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে নুরুন্নবীর পরিচয় শনাক্ত করেন তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা ও ছেলে তাজনুর সিফাত।

নিহত নুরুন্নবীর ছেলে তাজনুর সিফাত বলেন, সখীপুর আনসার একাডেমি থেকে আমার বাবাকে যাত্রাবাড়ী থানায় পোস্টিং দেয়া হয়। গত ৫ আগস্ট আমার বাবা আমাকে ফোন করে বলেন ‘আমাদের থানার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, আমাকে মাফ করে দিও বাবা’। এরপর থেকে বাবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এরপর আর বাবাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একসময় জানতে পারি যাত্রাবাড়ী থেকে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে অজ্ঞাত অনেক লাশ এসেছে। আমরা লাশ চিনতে না পেরে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দেই। আজ আমাদের জানানো হয় লাশের সাথে ডিএনএ মিলে গেছে।

তাজনুর সিফাত বলেন, আমার বাবা কী দোষ করেছিল যে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো? আমার বাবা তো সামান্য একজন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ছিলেন।

নিহত নুরুন্নবীর স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ৫ আগস্ট থেকে আমার স্বামীর সাথে কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। তিনি বেঁচে আছেন কি না জানতে পারছিলাম না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিএনএ নমুনা দেয়া হয়। আজ থানা থেকে আমাদের খবর দেয়া হলে স্বামীর লাশ শনাক্ত করি।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে অনেকেই মারা যান। সেখান থেকে লাশ ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। অনেকের পরিবারই লাশ শনাক্ত করতে পারেননি। এরপর আমরা ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাই। নুরুন্নবীর সাথে তার পরিবারের ডিএনএ মিলে গেছে। আজ তার পরিবারকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, নুরুন্নবীর বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রব। তার তিন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement