‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ফেডারেল ট্রেড কমিশন গঠনের সময় এসেছে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৬
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ফেডারেল ট্রেড কমিশন গঠনের সময় এসেছে’ বলে মন্তব্য করেছে নাগরিক অধিকার আন্দোলন (সিআরএম)।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এতে হায়দার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আহনাফ আবদুল্লার পরিচালনায় বক্তব্য রেখেছেন অ্যাডভোকেট রবিউল আউয়াল রবি, নাজমুল শায়েক, মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, এনামুল হক, শাফায়াত হোসাইন, নাজমুল হাসান, আতিউর রহমান, নুরে জান্নাত প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাজার ব্যবস্থা চাই যেখানে সাধারণ মানুষ সঠিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে। সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, বাজারে স্বচ্ছতা আনতে হবে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।’
তারা বলেন, ‘মানুষ স্বপ্ন নিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাই সেই স্বপ্নগুলো নষ্ট করবেন না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ফেডারেল ট্রেড কমিশন গঠনের সময় এসেছে। সরকার এখনো সিন্ডিকেট ভাঙতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে হু হু করে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমন দেশ তো আমরা চাইনি। দেশের সঙ্কটে আমরা সবাই যেমন লড়েছি, অভাব হলে সবাই মিলে কষ্ট করতেও রাজি আছি। কিন্তু একদল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে পুরো জাতি কষ্ট করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। অচিরেই এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদের বলুন, আমরা প্রবল ক্ষমতাধর স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি, কতিপয় সিন্ডিকেটবাজকে সহজেই শায়েস্তা করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ কালো ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করার ফলে মানুষ আজ দিশেহারা। এভাবে পণ্য মূল্য বাড়িয়ে জনগণকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবেন না। এভাবে যদি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাহলে আমরা সিন্ডিকেটধারী কালো মানুষগুলোর তালিকা তৈরি করে তাদের বাসা-বাড়ি ও অফিস ঘেরাও করব।’
বক্তরা জানান, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে হবে। এ কাজটি শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে না। মূলত মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের প্রধান দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব রয়েছে। লুটেরা সিন্ডিকেট চক্র দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চোখে সরষে ফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস করছে।’
তারা আরো বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিলে সিন্ডিকেট আপনা-আপনি ভেঙে যাবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আশা করি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুদ্রানীতি, আর্থিক নীতি এবং রাজস্ব নীতি পলিসির দ্বারা সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরবে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে ক্রেতার নাগালে আসবে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
তারা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ, বাজারে স্বচ্ছতা ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং আন্তর্জাতিকমানের বাজার নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা