ঈদের দিনে জমজমাট কুয়ালালামপুর বাংলাদেশী মার্কেট
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ০২ মে ২০২২, ১৫:৩০
প্রবাসীদের পদচারণায় মুখরিত কুয়ালামপুর বাংলাদেশী মার্কেট। বাংলাদেশী প্রবাসীরা টানা দুই বছর পর এমন বাংঙ্গালী মিলন মেলা অনুভব করছে।
রাজধানী কুয়ালালামপুরে সোমবার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসীরা জড়ো হয়েছেন চিরচেনা কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেটে।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় এ জায়গাটি নিস্প্রাণ ছিল। ব্যবসায়ীরা কোনো মতে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। টানা দুই বছরপর সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ তুলে নেয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেট। ব্যবসায়ীদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ! এ কথা সবাই মানলেও, প্রবাসীদের জীবনে এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন ভিন্নরকম। প্রবাসে অনেকেই আছেন যাদের জন্য ঈদের দিনটাও কষ্টকর।
কুয়ালালামপুর বিভিন্ন সেক্টর ঘুরে দেখা গেছে ঈদের দিনেও ছুটি নেই। প্রবাসীরা প্রতিদিনের মতো কাজ করছেন।
জানতে চাওয়ায় স্বজন ছাড়া ঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখের পানি ফেলেছেন অনেকেই।
মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমধারী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ জানতে পারি সোমবার ঈদ উদযাপন হবে। তাপর তড়িঘড়ি করে ঈদ উদযাপনের প্রস্ততি নেই। করোনার কারণে প্রবাসীরা কোনো ঈদ উদযাপন বা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ দিন পর হলেও সরকার বিধি নিষেধ তুলে দেয়ায় প্রবাসীরা ঈদ উদযাপন করছে। এই কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেট দেখলে মনে হবে এ যেন বাংলাদেশের ঢাকার কোনো জায়গা। ঈদ উদযাপন উপলক্ষে শুধু বাংলাদেশী প্রবাসীদের মিলন মেলা সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন ভিন্ন অনুভূতি। ঠিক সেই কথাই বলছিলেন অনেকে। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, তবে আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে ঈদ উদযাপন করা সত্যিই কষ্টের।
কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী মো: দূলাল আহমেদ বলেন, ২০২০ সালের পর এই প্রথম প্রবাসীরা সম্মিলিত ভাবে ঈদ উদযাপন করছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ব্যবসাও ভালো যাচ্ছে,যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে বিগত সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।
যে প্রবাসীরা রেমিটেন্সের টাকা পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন, তারাই তাদের প্রত্যেকেরই ক্যালেন্ডারের পাতায় বয়েছে উৎসবহীন দিন। কিন্তু তারপরও জীবন থেমে থাকে না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি দেখেই সব ভুলে যান এই প্রবাসীরা।