মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকটে হুমকিতে পামওয়েল শিল্প
দ্রুত শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:০৯, আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:১০
মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটানা লকডাউন ও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে প্রতিকূলতাসহ বিভিন্ন কারণে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির অন্যতম অর্থনীতির উৎস পামওয়েল শিল্প। করোনাকালে বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দায় মালয়েশিয়ায় যে প্রভাব পড়েছে তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি এই শিল্প।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেশটির পামওয়েল শিল্প বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্য করেছেন এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করাসহ সরকারি অনুদান বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ মাধ্যম 'ফ্রি মালয়েশিয়া টু ডে' (এফএমটি) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ওই শিল্পের যে শ্রম ঘাটতি রয়েছে তার জন্য সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ হিসেবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক পামঅয়েল অ্যানালিটিকসের মালিক সাথিয়া বর্ণা একটি নিয়মতান্ত্রিক পাঁচ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি এফএমটিকে বলেন, এই শিল্প জনশক্তি ঘাটতি ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের নেতিবাচক নীতিগত সমস্যার মুখোমুখিও হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কারণে মালয়েশিয়ায় পামঅয়েল উৎপাদন ও বিপণন এ বছরের শুরুতেই ৩০ ভাগ কমে গেছে। কারণ পামওয়েল শিল্পের ৮০ ভাগই বিদেশিকর্মীদের ওপর নির্ভর করে।
সমস্যা সমাধানে শিগগির প্রতিকূল শ্রমনীতি সংশোধন করে শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
গত বছরের জুলাইয়ে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মোহামাদ নাগিব ওহাব বলেন, বিদেশীকর্মীর অভাবে শিল্পটির সম্ভাব্য ফলনের ২৫ ভাগ উৎপাদন ও বিপণন কমে গেছে।
মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) মহাপরিচালক আহমেদ পারভেজ গোলাম কাদি বলছেন, সংশ্লিষ্ট পুত্রজায়া কর্তৃপক্ষের আরো বেশি বিদেশী শ্রমিককে স্বল্পমেয়াদি পদে নিয়োগের অনুমতি দেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পামওয়েল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। দেশটির ইউরোপ, আমেরিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভোজ্যতেল রফতানি করে থাকে। দেশটিতে পামওয়েলের উৎপাদন ও বিপণন শিল্পে বাংলাদেশের লাখ লাখ প্রবাসীকর্মী কাজ করে থাকেন।