পর্তুগালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈধতা পাচ্ছে নিবন্ধিত ২ লাখ ৪৬ হাজার অভিবাসী
- জুবের আহমদ, পর্তুগাল থেকে
- ০৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩৬
বিশ্ব মহামারি করোনার কারণে যখন পুরো ইউরোপ বিপর্যস্ত, অন্যান্য দেশ যখন অভিবাসীদের প্রতি কড়াকড়ি আরোপ করেছে তখন তার উল্টো চিত্র পর্তুগালে। এ বছরের মার্চে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের কারণে যেসকল নিবন্ধিত অভিবাসী (পর্তুগিজ ইমিগ্রেশনে যারা ফাইল জমা দিয়েছেন) ধারবাহিক নিয়মে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাননি, তাদের প্রায় সবাইকে নিয়মিত ঘোষণা করেছে পর্তুগীজ সরকার। অর্থাৎ, চলতি বছরের মার্চের ১৮ তারিখের আগে যেসকল অভিবাসী পর্তুগাল ইমিগ্রেশনে তাদের ফাইল জমা দিয়েছেন তাদেরকে আগামী ২০২১ সালের ৩১ মার্চের আগেই নিয়মিত করা হবে।
পর্তুগাল সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মিনিস্টার এদুয়ার্দো কাব্রিতা গত ৩ নভেম্বর পর্তুগিজ পার্লামেন্টের ২০২০-২০২১ সালের বাজেট অধিবেশন আলোচনায় এ ঘোষণা দেন।
১৮ মার্চের আগে যেসব অভিবাসী পর্তুগিজ ইমিগ্রেশনে তাদের ফাইল জমা দিয়েছেন তাদের সর্বমোট সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে বসবাসের অনুমতিপত্র বা সব প্রসেস সম্পন্ন করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, পর্তুগালে প্রতিনিয়তই অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা দেশের অর্থনীতির জন্য সত্যিই ইতিবাচক দিক। তিনি একটি পরিসংখ্যান টেনে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে পর্তুগালে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা যেখানে ছিলো ৫ লাখ ৮০ হাজার, সেখানে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজারে।
মাত্র ১ কোটি জনসংখ্যার দেশ পর্তুগালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কর্মজীবীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বর্তমান সরকার অভিবাসনের নীতি সহজ রেখেছে। আর এসব অভিবাসী সমন্বিতভাবে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রেখে চলেছেন।
ইউরোপে পর্তুগালকে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। কারণ এখানে অতি সহজেই যে কোনো ধরনের অভিবাসী বৈধতা পেয়ে যান। শুধু তাই নয়, সেখানে যদি কেউ বৈধভাবে পাঁচ বছর বসবাস করেন, তবে তিনি সে দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।