১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মালয়েশিয়ায় বেতন না পেয়ে কোম্পানির অফিস ঘেরাও-অবরোধ, যা বলল বাংলাদেশ দূতাবাস

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় কাজ নিয়ে কাওয়াগুচি কোম্পানিতে নিয়োগ পান অসংখ্য বাংলাদেশী শ্রমিক। কাজে যোগদান করার পর বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কর্মীদের ঠিকমতো বেতন না দিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করার। এ কারণে বাংলাদেশী শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে কোম্পানি বিরুদ্ধে অবরোধসহ বিক্ষোভ করে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সম্প্রতি শ্রমিকদের মাঝে আবারো অসন্তোষ দেখা দিলে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কাউয়াগুচি ম্যানুফেকচারিং এসডিএন বিএসডি কোম্পানির বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর নেয়া পদক্ষেপের তথ্য আন অফিসিয়াল নোটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য পাঠানো হলো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউয়াগুছি ম্যানুফেকচারিং এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাসে বকেয়া বেতন নিয়ে একটি অভিযোগ হাইকমিশনের নজরে আসে। হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাইকমিশনের উপস্থিতির অনুরোধ জানিয়ে হাইকমিশনে বাংলাদেশী কর্মীগণের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একটি সভার আয়োজন করে।

ওই সভায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে বকেয়া বেতন ধাপে ধাপে ডিসেম্বর ২০২৪ মাসের আগে পরিশোধের ব্যাপারে কোম্পানির দেয়া প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে সভার তিন দিন পরে হাইকমিশনের কর্মকর্তা প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে কোম্পানির সভাকক্ষে প্রথম কিস্তির বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয় এবং যথারীতি কর্মীগণ কাজ করেন এবং কাজের বিপরীতে প্রাপ্য বেতন পেতে থাকেন।

গত কিছুদিন আগে কর্মীদের পক্ষ হতে বকেয়া বেতন প্রাপ্তি নিয়ে পুনরায় অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাইকমিশনের উপস্তিতির অনুরোধ জানিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তাগণের সাথে হাইকমিশনে সভা করা হয়। ওই সভায় কোম্পানি তাদের আর্থিক দূরাবস্থা, বিদেশী ক্রয় আদেশ বাতিলের প্রেক্ষিতে উৎপাদন বন্ধের বাস্তবতাসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কর্মীদের কর্মসংস্থান বিষয়ে কোম্পানিকে নিশ্চিত করার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের কাজ বর্জন ও অফিস ঘেরাও করার খবর পেয়ে হাইকমিশনারের নির্দেশে রাত ১১টার দিকে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কোম্পানিতে উপস্থিত হয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুলিশ বিভাগের সদস্য ও কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

গত রাতের আলোচনার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে সকাল ১০টার দিকে আবার সহকারী পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ সুপার, JTK-এর প্রতিনিধি, কোম্পানির কর্মকর্তারা ও কর্মীদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় দীর্ঘ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়। ইতোমধ্যে JTK দায়ের করা অভিযোগের শুনানি ১৮ ডিসেম্বর থাকার কারণে ওই দিন পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করার বিষয়ে সভায় পরামর্শ দেয়া হয়। সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বলেও জানানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement