২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে হরিলুট : মূল হোতাদের ধরতে চিঠি দিলো বাংলাদেশ

- ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও মানবপাচারের অভিযোগ পুরোনো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এসব সিন্ডিকেট ও অনিয়মের সাথে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ পুলিশ অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর আড়ালে অর্থ পাচার, সিন্ডিকেট করে অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি এবং মানবপাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মালয়েশিয়া সরকারকে দু’জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার ও হস্তান্তর করতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালয়েশিয়া পুলিশের কাছে গেলো ২৪ অক্টোবর এ চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার দেশটির মালায় মেইল পত্রিকা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আমিনুল ইসলাম এবং রুহুল আমিন নামের দু’ব্যক্তিকে অভিযুক্ত উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয় তারা এমন একটি ব্যবস্থায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন যেখানে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আদায় করেছে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্টে শ্রমিক পাঠাতে সরকার-নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ছিলো ৭৯ হাজার টাকা। কিন্তু মালয়েশিয়া যেতে গড়ে একজন বাংলাদেশীকর্মী খরচ করেছেন পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। দেড় বছরে সাড়ে চার লাখের মতো লোক পাঠিয়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে এ খাতে।

সরকার নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে বেশি নেয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে 'চক্র ফি' নেয়া হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি। কয়েকটি এজেন্সির মালিকরা সিন্ডিকেট করে এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপি জড়িত ছিলেন বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।


আরো সংবাদ



premium cement