মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাসপোর্ট ভোগান্তি নিরসনের জোরালো দাবি ইসলামী আন্দোলনের
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৪
মালয়েশিয়ায় হঠাৎ করে এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ এবং নির্ধারিত সময়ে ই-পাসপোর্ট না পাওয়ায় প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মালয়েশিয়া শাখা।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাংয়ের একটি হোটেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখা আয়োজিত এক তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে এই সমালোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নানান কার্যকরী দিক তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ছাড়া বাকি সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতিতে একমত হয়েছেন। এই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হবে এবং সকল দলই তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নিজেদের সেরা প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাবে। এতে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরাই তাদের সর্বোচ্চ সেরাটা দিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি মুফতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু হোরায়রার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাহাসা ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিপি বশির ইবনে জাফর, মালয়েশিয়া শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান মাসুম, সুবাং শাখা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ও হাফেজ মাওলানা মাসুদ আশ্রাফি প্রমুখ। এছাড়া কুয়ালালামপুর ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলোর শাখা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলের নেতারা কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, কাগজের সংকট, ফয়েল পেপার এবং নানাবিধ কাল্পনিক বানোয়াট, উদ্ভট সঙ্কট দেখিয়ে এমআরপি পাসপোর্ট বিতরণ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। অনেক প্রবাসী শ্রমিকদের ভিসা শেষ হয়ে গেছে পাসপোর্টের অপেক্ষায়। ভিসাহীন এহেন মানবেতর জীবনযাপনের দায়ভার অবশ্যই হাইকমিশনকে নিতে হবে।
দলের সভাপতি মুফতি আমিরুল ইসলামসহ অন্য নেতারা বলেন, সর্বপ্রথমে অল্প টাকায় এবং স্বল্প সময়ে প্রবাসীরা পাসপোর্ট হাতে পেত। এখন সেই খরচ কয়েকগুন বাড়িয়েও এমআরপি এবং ই-পাসপোর্টের জন্য প্রবাসীদের ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মালয়েশিয়ার সরকার মাত্র দুই ঘণ্টায় পাসপোর্ট হাতে তুলে দেয়। এগুলো কি আপনারা দেখেন না? মালয়েশিয়ার মাঝে সবচেয়ে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ হাইকমিশন। প্রবাসীদের জন্য তারা কোনো কাজই করছে না। এজন্য এদেশে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের কবলে পড়া প্রবাসী হলো আমরা বাংলাদেশীর।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মনে রাখবেন, স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। বর্তমান সরকার রিজার্ভে হাত না দিয়েই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে প্রথম দফায় ঋণ শোধ করলেন। কোত্থেকে এই অর্থ গেছে, আপনারা কি জানেন না? আমরা প্রবাসীরা যদি আন্দোলনে পথে নামি আর রেমিট্যান্স বন্ধ করে দেই, তাহলে আপনারাও পথে বসবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব অনতিবিলম্বে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান করুন।