ফুটওভার ব্রিজে নতুনত্বের ছোঁয়া

ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-১ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ফুটওভার ব্রিজ থেকে হকার ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ, ভাঙাচোরা অংশ মেরামত ও রঙ করা হচ্ছে। ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর অধীনে ১৭টি ফুটওভার ব্রিজ আছে। ইতোমধ্যে আটটি ব্রিজের কাজ শেষ। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ক’টি ব্রিজের কাজ করা হবে। মাসখানেক আগে কাজ শুরু হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
গতকাল দুপুরে শাহবাগ এলাকার ফুটওভার ব্রিজ দুটি ঘুরে দেখা যায়, নতুন রঙের প্রলেপ। ভাঙাচোরা অংশগুলো মেরামত করা হয়েছে। গাছের কয়েকটি নতুন টবও বসানো হয়েছে। কোথাও কোনো ময়লা আবর্জনা নেই। এমনকি হকারও চোখে পড়েনি। তবে মাসখানেক আগেও ফুটওভার ব্রিজ দুটির বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙা ছিল। রঙহীন সেতুর বড় অংশ দিনের বেলায় ছিল হকার আর রাতে ভবঘুরেদের দখলে।
ডিএসসিসি অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সড়কে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার অত্যাবশ্যক। কিন্তু এখনো ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ কম। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। নগরবাসী যাতে নিজেরাই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়, সে জন্য ফুটওভার ব্রিজ সংস্কারসহ সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে।
শিশুপার্কসংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজ পার হচ্ছিলেন চাকরিজীবী নুমান ফয়েজ। তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজে উঠেই ভালো লাগছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, কোনো হকার বা ভবঘুরে নেই। ফুটওভার ব্রিজটি এমন থাকলে এর ব্যবহার বেড়ে যাবে।
ফুটওভার ব্রিজ সংস্কারে সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের বেশ প্রশংসা করেছেন পথচারীরা। তবে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কাও আছে অনেকের।
ডিএসসিসির সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করা অভ্যাসের বিষয়। নিয়ম বা জরিমানা করে এ বিষয়ে অভ্যস্ত করানো যাবে না। তাই ফুটওভার ব্রিজগুলো সংস্কার করে, রঙ করে জনগণের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যাতে তারা ব্যবহারে উদ্বৃদ্ধ হন। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করলে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।