লাইসেন্সবিহীন ১৪ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লাইসেন্সবিহীন ১৪টি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সাথে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, গত এপ্রিল মাসে একটি দৈনিক পত্রিকায় মোহাম্মদপুরের বাবর ও খিজির রোডে লাইসেন্সহীন হাসপাতালের খবর প্রকাশিত হয়। আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে ৯ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে আমরা একটি রিট আবেদন করি। আজ ওই রিটের ওপর শুনানি হয়েছে। এতে মোহাম্মদপুরের ১৪টি হাসপাতাল দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘রাজধানীতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান : ৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়।
১৪টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক হচ্ছে : বিডিএম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল, নবাব সিরাজ উদদৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতাল, মনমিতা মানসিক হাসপাতাল, প্লাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মানসিক হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল।
রুলে লাইসেন্সহীন ১৪টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আট বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হ