২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাকায় চলা ৬ লাখ রিকশাই অবৈধ

-

রাজধানীতে অস্বাভাবিক হারে রিকশা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন না মানা এবং যান্ত্রিক বাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে একই রাস্তায় রিকশা চলায় যানজটও বাড়ছে। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ রিকশার নিবন্ধন দিয়েছিল সিটি করপোরেশন। বর্তমানে ঢাকায় চলা প্রায় পৌনে সাত লাখ রিকশার ছয় লাখই অবৈধ। ঢাকা শহরে চলা ৮৮ ভাগ রিকশাই অবৈধ। অনুমোদনহীন এসব রিকশা রাজধানীর অলিগলিসহ মূল সড়কেও চলছে।
রাজধানীতে রিকশা চলাচলের অনুমোদন দেয় সিটি করপোরেশন। এ জন্য করপোরেশন থেকে রিকশার নিবন্ধন নিতে হয় এবং বছর বছর তা নবায়ন করতে হয়। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে নিবন্ধন দেয়া হয়। দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৭৩। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) চলে ৫২ হাজার ৭৫৩ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৬ হাজার ৭২০টি। প্রকৃতপক্ষে ঢাকা শহরে মোট কত রিকশা চলে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে পুলিশ, রিকশা মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন, সিটি করপোরেশন ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় রিকশার সংখ্যা প্রায় পৌনে সাত লাখ, যার ছয় লাখই অবৈধ। অন্তত ২৫টি সংগঠন অবৈধ রিকশাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
গত শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের প্রতিনিধি সভায় এসব অবৈধ রিকশা উচ্ছেদের দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি ৪৩ হাজার রিকশা-ভ্যানের অনুমোদন দাবি করা হয়। এই দাবিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি মানববন্ধনেরও ডাক দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি আজাহার আলীর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, সহসভাপতি আবদুল মান্নান, ফজলুর রহমান মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক মো: রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অবৈধ রিকশা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে সভায় বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে পুলিশ প্রশাসন, ঢাকা সিটি করপোরেশন, রিকশা মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নতুন করে ৩৫ হাজার রিকশা ও ৮ হাজার ভ্যানগাড়ির নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে পর্যায়ক্রমে রাজধানীতে অবৈধ রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজধানীর অলিগলির পাশাপাশি মূল সড়কেও এসব রিকশা চলায় যানজট বাড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ‘যান্ত্রিক বাহনের সাথে একই রাস্তায় রিকশা চলছে। ভিন্ন গতিবেগের কারণে সব বাহনের গতিই কমে যায়। এতে গাড়ি বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকে এবং যানজট তৈরি হয়। গণপরিবহন চলে এমন রাস্তায় না চলাই ভালো। প্রধান সড়কে না চলে রিকশা চালাতে হবে পাড়া-মহল্লা ও ছোট সড়কে। রিকশার জন্য নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে ভিআইপি রোড, মিরপুর রোড, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউ সার্কুলার রোড, ডিআইটি রোড, রোকেয়া সরণি, টেকনিক্যাল মোড় থেকে মিরপুর-১, প্রগতি সরণি, জহির রায়হান সরণি, নর্থ সাউথ রোডসহ প্রায় সব সড়কেই রিকশা চলছেই।


আরো সংবাদ



premium cement
ভৈরবে ২ সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার নীলফামারীতে ৪ রোহিঙ্গা যুবক আটক ডেঙ্গুতে আরো ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ চিন্ময় দাসের গ্রেফতারে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ টেকনাফে অপহৃত ২ মৎস্যব্যবসায়ী উদ্ধার, আটক ৩ সিরাজদীখানে কেমিক্যাল শিল্পপার্ক পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কর্মী নিহত হয়েছেন : দাবি পিটিআইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আয়েশার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও নয়া দিগন্তের মুক্তাগাছা সংবাদদাতা মুর্শেদ আলম লিটন আর নেই রাশিয়া রাতে ‘রেকর্ড’ সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়েছে : ইউক্রেন আতঙ্ক নয়, পুলিশ হবে জনগণের ভরসা : জিএমপি কমিশনার

সকল