জাতীয় শোক দিবস ও ঈদুল আজহায় ব্যাপক নিরাপত্তা
- ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন এবং আসন্ন ঈদুল আজহা নিরাপদ ও নির্বিঘেœ উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। গত শনিবার পুলিশ সদর দফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে গত শনিবার সকালে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট, ব্লক রেইড এবং সামাজিক অনুষ্ঠান ও কাঙ্গালিভোজের আয়োজনস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন পুলিশপ্রধান। কাঙ্গালিভোজের খাবার সিভিল সার্জন দিয়ে পরীক্ষা করে নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইজিপি বলেন, ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে কোনো ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে। সড়ক, রেল, নৌপথ, পশুর হাট এবং ঈদ জামাতস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামানো যাবে না বলে নির্দেশনা দেন তিনি।
পশুর হাটে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে পানীয় এবং খাবার গ্রহণ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেবেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা থেকে সতর্ক থাকতেও বলেছেন তিনি।
নির্ধারিত হাট ছাড়া কোরবানির পশু ওঠানামা রোধ, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, পশুর হাট ইজারাদারের মাধ্যমে হাসিলের হার প্রদর্শন, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ওই সভায়। এ ছাড়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং, ঈদ জামাতস্থল, লঞ্চ, ট্রেন, বাস ও মসজিদে জঙ্গিগোষ্ঠীর নাশকতা রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ঈদে নৌপথে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌপুলিশ নিয়োজিত থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলে নেয়া হবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। বিরোধপূর্ণ স্থানে ঈদ জামাত না করার জন্য পরামর্শ দেন আইজিপি।