মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে সিসিটিভি ক্যামেরা
- ফয়েজ হিমেল
- ১০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ‘মৌচাক-মগবাজার’ ফ্লাইওভারটি যানজট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সঠিক নজরদারির অভাবে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। ফ্লাইওভারটিতে এমন সব অপকর্ম রোধে এবার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরো এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করতে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয়েছে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে এসব ক্যামেরাগুলো চলছে।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের বাংলামোটরের ঢাল, মগবাজার চৌরাস্তা, মগবাজার ওয়্যারলেস, তেজগাঁও-সাতরাস্তা, মৌচাক ও মালিবাগ মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে সচল করা হয়েছে ক্যামেরাগুলো।
ডিএমপি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ফ্লাইওভারের ওপরে এবং ফ্লাইওভারসংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৫০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর এবং আবদুল গণি রোডের পুলিশের সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নজরে আসতেই সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে ফুটেজ দেখে সেসব ঘটনার বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টিও নজরদারির আওতায় আনা সম্ভব হবে। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর অন্তত চারবার বৈদ্যুতিক তার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে সিগন্যাল ও ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। ল্যাম্পপোস্টের লাইট কাজ না করায় রাতে ফ্লাইওভারজুড়ে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশের। এ ছাড়াও গত মে মাসে ‘মৌচাক-মগবাজার’ ফ্লাইওভারের মালিবাগ অংশ থেকে বস্তাবন্দী এক নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি প্রাইভেট কার থেকে বস্তাটি ফেলে যাওয়ার কথা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেও সেই গাড়িটিকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে লাশের পরিচয় না মেলায় এ ঘটনার কোনো কূলকিনারা হয়নি দুই মাসেও। গত বছরের ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় শফিকুল ইসলাম নামে একজন মারা যান। ঘটনার ছয় মাস পার হলেও ঘাতক বাসকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।