ইফতারে ঢাকার হালিম ও জিলাপি
- মারিয়া নূর
- ১২ জুন ২০১৮, ০০:০০
রমজানে ইফতারের আবশ্যক উপাদান হালিম ও জিলাপি। তারকা হোটেল থেকে শুরু তরে তাই পাড়ার হোটেলেও বিক্রি হচ্ছে মজাদার হালিম ও জিলাপি। তবে বাসাবাড়িতেও হালিম তৈরি হয় এখন।
হালিম
ঢাকায় কয়েক রকমের হালিম পাওয়া যায়। এর মধ্যে দাম ও পছন্দ মিলিয়ে গরুর গোশতের হালিম বেশি জনপ্রিয়। এ ছাড়া আছে মাটন বা খাসির হালিম, চিকেন বা মুরগির গোশতের হালিম। গোশতের ভিন্নতা ছাড়া হালিমের অন্য উপকরণ ও রন্ধনপ্রণালি প্রায় একই।
পুরান ঢাকার চকবাজারে হালিম বিক্রি করছে আমানিয়া রেস্টুরেন্ট, ডিসেন্ট পেস্ট্রি শপ, বোম্বে কনফেকশনারি, আলাউদ্দিন সুইটমিট ও আনন্দ, জনসন রোডের হোটেল স্টার, হোটেল ঘরোয়া, মতিঝিল ঘরোয়া, গোপীবাগের খাজা হালিম এবং বেইলি রোডের ফখরুদ্দীন, নবাবি ভোজসহ বিভিন্ন দোকানে। এর মধ্যে ২০ বছর ধরে হালিম বিক্রি করছে আমানিয়া রেস্টুরেন্ট। এখানে বিভিন্ন ধরনের ডাল, মসলা ও খাসির গোশত দিয়েই হালিম তৈরি হয়। রাজধানীবাসীর কাছে সুস্বাদু ও উপাদেয় এ খাবারের নাম বলতে গেলে সবার আগে চলে ‘মামা হালিম’-এর কথা। রাজধানীর কলাবাগানের ছোট একটা ছাপড়া ঘরে উদ্ভব মামা হালিমের। ক্রমে বিখ্যাত হয়ে ওঠা এই হালিমের পথচলা যার হাত ধরে, তিনি হলেন দীন মোহাম্মদ মনু। তার এ নাম প্রায় হারিয়েই গেছে ‘মামা’ নামের আড়ালে।
জিলাপি
ইফতারির মেন্যুতে ছোট-বড় সবার কাছে জিলাপির রয়েছে বিশেষ চাহিদা। আর এ চাহিদা পূরণে ফুটপাথ থেকে শুরু করে দেশের পাঁচতারকা হোটেলসহ সর্বত্রই তৈরি হচ্ছে হরেক রকমের জিলাপি। রাজধানীর বিভিন্ন ইফতার বাজার ঘুরে খোঁজ মেলে এমন বাহারি জিলাপির। নগরীর হান্ডি ইন্ডিয়ান বিসত্রো রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে ‘জাফরানি জিলাপি’, যার কেজিপ্রতি দাম রাখা হয় ৪০০ টাকা। ঐতিহ্যবাহী ‘চিকন জিলাপি’ পাওয়া যাচ্ছে রয়েল বাংলা সুইটসে, কেজি ২০০ টাকা। ‘জাফরান মিল্ক জিলাপি’ কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রোদেলা বিকেলে। হোটেল পেনিনসুলায় প্রতি কেজি জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে ৩২০ টাকায়। সবুজ হোটেলে ‘কাশ্মিরী জিলাপি’ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫০ টাকায়। আফগান রেস্টুরেন্টে ‘রেশমি জিলাপি’ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ টাকায় এবং ‘কালো জিরা জিলাপি’ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। এ ছাড়া নগরীর হাইওয়ে, সিজল, বনফুলসহ মিষ্টি বিতানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে মুখরোচক ভিন্ন আকারের জিলাপি।
পুরান ঢাকা বিভিন্ন ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায়, শাহী জিলাপি, প্যাঁচ জিলাপি, চিকন জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, রেশমি জিলাপি আমিত্তিসহ হরেক রকমের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। মাষকলাইয়ের ডাল আর ময়দায় তৈরি হচ্ছে আমিত্তি। দেখতে জিলাপির মতো হলেও এতে প্যাঁচগুলো এলোমেলো থাকে। ভাজা হয় একটু কড়া করে। যা খেতে খুব মজাদার। নাম শুনলেই যেন জিভে জল চলে আসে। এ সব জিলাপি শুধু নামেই আলাদা নয়, এদের আকার ও স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। চকবাজারের শাহী জিলাপি বিক্রেতা লোকমান বলেন, এখানকার শাহী জিলাপি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। রাজধানী বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে এ জিলাপি কিনতে।