ঈদের নতুন নোট আসছে ৩ জুন
- ২৯ মে ২০১৮, ০০:০০
ঈদ উৎসবে নতুন নোটের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। এ চাহিদা মেটাতে এবারও বিশেষ ব্যবস্থায় নতুন নোট ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামী ৩ জুন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সব শাখা অফিস এবং রাজধানীতে ১০ ব্যাংকের ২০ শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে এ নোট বদলে দেয়া হবে। একজন ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার একটি করে বান্ডিলের মোট ১৮ হাজার টাকা নিতে পারবেন। এবার প্রথমবারের মতো ঈদের আগে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট দেয়া হবে না।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট পাচার হওয়ার খবরে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে এ দুই নোট ছাড়ার বিষয়টি নিরুৎসাহিত করছে। গত এপ্রিলে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাধারণ কাগজের চেয়ে অধিকতর টেকসই হওয়ায় এবং সন্দেহ এড়াতে বিভিন্ন দেশের মাদকসেবীরা হেরোইন ও ইয়াবার মতো মাদক গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের নতুন কাগুজে নোট ব্যবহার করছে। একটি চক্র বাংলাদেশ থেকে এসব মূল্যমানের নোট অবৈধভাবে পাশের দেশে পাচারের চেষ্টা করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পাচার ঠেকাতে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনে কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অতি প্রয়োজন হলেও একজনকে একটির বেশি প্যাকেট তথা ১০০ পিসের বেশি না নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্টরা জানান, প্রতি বছর রোজার ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। চাহিদা বিবেচনায় বেশি নোট সরবরাহকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠে নোট জালকারবারীরা। এ কারণে নতুন নোট সরবরাহের পাশাপাশি জাল নোট প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের উদ্যোগে জনসমাগমস্থলে আসল নোট চেনার উপায় বিষয়ে ভিডিওচিত্র প্রচারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট বদলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া রাজধানীতে ১৯ ব্যাংকের ২০ শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট দেওয়া হবে। শাখাগুলো হলো- জনতা ব্যাংকের আবদুল গনি রোড ও রাজারবাগ, সোনালী ব্যাংকের রমনা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, সিটি ব্যাংকের মিরপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাওরানবাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ), উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, মার্কেন্টাইলের বনানী, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড কৃষি শাখা।