২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ও পশু

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ও পশু - প্রতীকী ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পানির দুর্যোগও মারাত্মক ভয়াবহ। পানি যখন ফুঁসে ওঠে, তখন সমস্ত কিছুকে গ্রাস করে ফেলতে চায়। দুর্যোগের সূচনাটা এমন- নদীর পানি স্ফীত হতে থাকে। পাড় ভাঙতে থাকে। তীরের জনবসতি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। চোখের সামনে জনপদকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। এরপরের দৃশ্য আর দেখার মতো না। তার ভয়ানকরূপে মানুষ নিরুপায় হয়ে যায়। নদী তখন উন্মাদ। সে অপেক্ষায় থাকে কখন সাগরের সাথে একাত্ম হবে। বৃষ্টি বর্ষণ, নদীর পানি, মহাসমুদ্রের জলরাশি মিলে এমন এক দুর্যোগে পরিণত হয় যা প্রকৃতির সমস্ত অংশকে বিনাশ করে দিতে চায় যেন।

দুর্যোগকে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে গোণা যায় না। যেকোনো জিনিসই মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়। বৃষ্টি সুন্দর। প্রকৃতির আশীর্বাদস্বরূপ। যখন বর্ষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন নানা ধরনের বিপদ সংকেত আসতে থাকে। তবে আমরা যেহেতু প্রকৃতির কাছে আশ্রিত সেহেতু দুর্যোগের কড়াল গ্রাস আমাদেরও ছাড়ে না। বন্যাতে মানুষের ক্ষতি হয় প্রচুর। মানুষের আশ্রয় বলতে তখন কিছু থাকে না। জলোচ্ছ্বাসে ভাসতে থাকে নিরুপায় মানুষ। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, কিছু মানুষ তখন মারাও যায়।

আবার কিছু মানুষ বুদ্ধিমান। স্রষ্টার দেয়া বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিজের আত্মরক্ষার ব্যাপারে চমৎকার চমৎকার জিনিস আবিষ্কার করে ফেলে। দেখা যায়- নদীর প্রবল স্রোতে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। আস্ত এক দালান মুহূর্তে ধসে পড়ছে। উঁচু উঁচু বৃহদাকার গাছগাছালি শেকড় ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ছে। এভাবে দেখা যায়, স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গৃহপালিত, অগৃহপালিত পশু। যাদের এতটুকু বুদ্ধি নেই যে দুর্যোগ থেকে বেঁচে ফিরে আসবে।

কিন্তু মানুষ, তার বুদ্ধি চমৎকার। সে বিপদের পূর্বাভাস বুঝতে পেরে আত্মরক্ষার পরিকল্পনা করে। আল্লাহ মানুষকে অনেক কিছু করবার ক্ষমতা দিয়েছেন। ফলে সে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, বজ্রপাতের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় অবস্থান করে। মানুষের হাতে ইন্টারনেট আছে। রেডিও আছে। আছে ক্যামেরা। ক্ষণে ক্ষণে রেডিওতে আবহাওয়া-প্রতিকূলতার কথা ভেসে আসে। আবহাওয়াবিদরা বিজ্ঞানের চরমোৎকর্ষ সাধন করেছেন। তারা বিপদ সংকেত জারি করেন। নৌযান নদীতে ভাসবে কি ভাসবে না ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেন।

মানুষ অনেক সাহসী। উপকূলীয় অঞ্চলে, উত্তাল সমুদ্রের কাছ থেকে খবরাখবর সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রাণীকুলের মধ্যেই ঝুঁকি নেবার একমাত্র নেশা মানুষের মধ্যে আছে। তাই তারা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি খুব কাছ থেকে দেখে আসে। খবরের কাগজে এগুলোর ছবি প্রকাশ করে। এই কাজটি করতে গিয়ে তার জীবনের ঝুঁকি ছিল মারাত্মক।

পৃথিবীর বুকে যত ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে, পশু পাখি তাতে মারা পড়েছে। তবে মানুষ বেঁচে ফিরেছে । মানুষের যেকোনো ক্ষতিই হয়নি তা আমি দাবি করছি না। সে তার বুদ্ধি খাটিয়ে কোনো না কোনো রাস্তা বের নেয়। আসলে বুদ্ধি আল্লাহর বিরাট দান।

-নাবিল ওয়ালিদ তরুণ প্রাবন্ধিক


আরো সংবাদ



premium cement
বিয়ের ৪ দিন পর লাশ হলেন নববধূ ৫৩ বছরে শোষণ-বঞ্চনার রাষ্ট্র পেয়েছি : মাসুদ সাঈদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকলেই ন্যায় বিচার পাবেন : মোবারক হোসেন জয়সাওয়ালের রেকর্ড ছক্কার দিনে পার্থে দাপট ভারতের তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি ‘বাবা বলে ডাকতে পারি না’ বিএনপি নির্বাচন চায় দেশকে রক্ষার জন্য : মির্জা ফখরুল জাতীয় ঐক্যের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : গোলাম পরওয়ার সাঙ্গু নদীতে নৌকা বাইচের মাধ্যমে শুরু হলো বান্দরবানে সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া মেলা ফার্মগেটে ৭ তলা ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনের ডনেটস্ক অঞ্চলের গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া

সকল