২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ন্যায়পাল নিয়ে অনীহা

ন্যায়পাল নিয়ে অনীহা - নয়া দিগন্ত

শুদ্ধাচারের আন্দোলন একটি লাগাতার কর্মসূচি হওয়া জরুরি। কেননা কোনো সমাজ ও দেশ থেকে অন্যায় অনিয়ম অব্যবস্থা দুর্নীতি ইত্যাদি দূর করা এক দিনে সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে তো নয়ই। কেননা বিশ্বের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় এ দেশের নাম শীর্ষ পর্যায়েই রয়েছে। এই গ্লানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার যে উদ্যোগ আয়োজন, সেটা শুরু করার কোনো লক্ষণ আজো নেই।

কেননা দেশের নেতারা যারা এই অবস্থা থেকে উত্তরণের সূচনা করবেন, তাদের বোধ বিবেচনায় এসব রয়েছে বলে মনে হয় না। এসব অনিয়ম অব্যবস্থা ও দুর্নীতি দেশের মানুষের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। তা কারো চেতনাকে জাগ্রত করছে- এমন দেখা যায় না। অথচ দেশের মালিক জনগণও। তাদের সুখ-শান্তি নির্বিঘ্ন জীবনযাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেশের সরকার পরিচালনাকারীদের।

বাংলাদেশের সংবিধানের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো, ন্যায়পালের বিধান। প্রশাসনের অনিয়ম অব্যবস্থা দূর করতে সংবিধানে ন্যায়পালের বিষয়টি সংযোজিত হয়েছে। ন্যায়পালের সহযোগিতায় সরকার শুদ্ধাচারের অনুশীলন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠতে অব্যবস্থা, অনিয়ম এবং দুর্নীতি দূর করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। এটা তখনই সৃষ্টি হতে পারে যখন এই স্রোতে সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ শামিল হবে। এই ঐক্যের জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।

কিন্তু এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে এমন ঐক্য সৃষ্টি করার সুযোগ খুব কম। তবে দেশের মৌলিক ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য এবং এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট, মূলত যারা ক্ষমতায় থাকেন বিরোধীদের প্রতি তাদের দৃষ্টি যদি সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতাপূর্ণ না হয় তবে সরকারের নীতি যতই ভালো হোক না কেন, তাতে সুফল পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি যদি উপলব্ধিতে না আসে, কোনো প্রয়াসই সফল হবে না।

স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাব্দী পার হলেও ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া হয়নি আজ পর্যন্ত। সংবিধানের ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদের ১. উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালের পদ প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান করিতে পারিবেন।’ ২. উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালকে কোনো মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের যেকোনো কার্য সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতাসহ যেরূপ ক্ষমতা কিংবা যে রূপ দায়িত্ব প্রদান করিবেন, ন্যায়পাল সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।’ ৩. উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ন্যায়পাল তাহার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রণয়ন করিবেন এবং অনুরূপ রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হইবে।’

সংবিধানের এই আইনটি দীর্ঘকাল বাক্সবন্দী থাকার অর্থই হচ্ছে, এ যাবৎ যত সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের দ্বারা সম্পাদিত অনিয়মগুলো যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য তারা কেউই এই আইনকে কার্যকর করেনি। সরকারের কার্যক্রমের জবাবদিহিতার মধ্যে কোনো প্রকার স্বচ্ছতা আসুক, সম্ভবত এটা কোনো সরকারই চায়নি নিজ স্বার্থেই।

ন্যায়পাল (Ombudsman) জবাবদিহিতামূলক গুরুতবপূর্ণ পদ বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৮০৯ সালে সুইডেনে প্রথম প্রবর্তিত হয়েছিল। ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ‘ন্যায়পাল’ বলতে এমন একজন সরকারি মুখপাত্র বা প্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মকর্তাকে বোঝায়, যিনি সরকারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করবেন।

আমলা ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ন্যায়পাল থাকবেন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও অভিগম্য। বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের তদন্ত এবং সে সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করার ক্ষমতা ন্যায়পালের ওপর অর্পিত।

ন্যায়পালের কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে বেসরকারি প্রশাসন ও আদালতগুলোর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা। তাকে বেআইনি কার্যকলাপ, কর্তব্যে অবহেলা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। বিশেষভাবে প্রতারণামূলক অপরাধ ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কার্যকলাপের প্রতি তাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়।

যেকোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সংবিধানের বিধি বা দেশের আইন লঙ্ঘন কিংবা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন ভঙ্গ করলে ন্যায়পাল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাধারণভাবে ন্যায়পাল পদের মূল উদ্দেশ্য হলো, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের সমতা, সততা ও স্বচ্ছতা বিধান এবং সুনির্দিষ্টভাবে প্রশাসনের যেকোনো ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ; সরকারি কর্মকর্তারা যাতে কর্তব্যকর্মে নীতিবিচ্যুত না হন তার প্রতি দৃষ্টি রাখা। একটি সৎ দক্ষ কর্মপরায়ণ নির্বাহী বিভাগ গঠন করতে ন্যায়পাল বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

ন্যায়পালের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে- যেমন জনসাধারণের সম্পত্তি বেদখল হলে- সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষমতাও তার নেই।

বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়েছিল। সেই সংবিধানে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু পদ থাকলেও ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এ নিয়ে। ন্যায়পাল ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার জন্য সংসদে এ সংক্রান্ত আইন তৈরি ও পাস করা হয়নি। ১৯৮০ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকার এই মর্মে একটি আইন তৈরি এবং সংসদে পাস করান। তবে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছরে কোনো সরকারই তা কার্যকর করেনি।

এর অর্থ এমনই করা যেতে পারে যে, আজ অবধি কোনো সরকারই আমলা শ্রেণীর অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সাহসী হয়নি। এমন ভীতিও রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের থাকতে পারে যে, আমলাদের বিষয় নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হলে পেছনে থেকে তারা নিজেরা যে ভূমিকা রাখেন, সেটা বেরিয়ে এলে আমলাদের সাথে তারাও বিপদগ্রস্ত হতে পারেন। আমাদের দেশে সরকারের রাজনৈতিক যে কর্তৃপক্ষ, তারা নিজেরাই স্বচ্ছ নয় বলে কোনো ধরনের জবাবদিহির সম্মুখীন হতে তাদের প্রচণ্ড অনীহা।

আর এসব কারণেই বাংলাদেশ পৃথিবীর সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম হওয়া সত্ত্বেও এর কোনো প্রতিবিধান কোনোদিন হয় না। প্রতিটি দল নির্বাচনের আগে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে থাকে।

অথচ নির্বাচন শেষে এসব প্রতিশ্রুতির কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়। যদি তাই না হতো, এ দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেগবান আন্দোলন সৃষ্টি এবং ন্যায়পাল গঠনের ক্ষেত্রে সরকারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি হতো। ন্যায়পালের ধারণা বিকশিত না হওয়ার মধ্য দিয়ে এটাও প্রমাণ হয় যে, দেশে আইনের শাসন প্রাধান্য লাভ করুক সেটাও রাজনীতিকেরা চান না।

অথচ আইনের শাসন নিয়ে সুশীল সমাজের সদস্যরা সংবাদপত্রে নিয়ত লেখালেখি করেন। দেশে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, কোনো স্তরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া এবং জীবনাচরণে তার অনুশীলন না করা। এই বক্তব্য ও দাবির প্রতি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে।

১৯৮০ সালে যে ন্যায়পাল বিধান সংসদ পাস করেছিল তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা হতে পারে। ন্যায়পালের পদে নিয়োগ পাওয়ার যে বিধি রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সুপারিশ সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি এই পদে নিয়োগ দান করবেন। সংসদ এমন ব্যক্তিকে ন্যায়পাল নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবেন যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না এবং যার প্রশাসনিক সক্ষমতা ও আনুগত্য থাকবে।

এই পদ তখন থেকেই কার্যকর হবে যখন কোনো সরকার এই পদের প্রয়োজন বোধ করবেন এবং এই মর্মে যে দিন গেজেট জারি করবেন সে দিন থেকে তা কার্যকর হবে। ন্যায়পালের পদে থাকার সময়সীমা হবে তিন বছর। ন্যায়পালকে তার পদ থেকে সরাতে হলে রাষ্ট্রপতির আদেশের প্রয়োজন হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হতে হবে। ন্যায়পাল অনিয়ম করলে কিংবা শারীরিক অক্ষমতার অভিযোগে তাকে সরানো যাবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কোনো কোনো পদক্ষেপের তদন্ত করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অভিযোগ করলে তাও দেখার এখতিয়ার ন্যায়পাল দফতরের রয়েছে।

আগেই বলা হয়েছে যে, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে সংবিধান রচনার সময়ই সংবিধানে ন্যায়পাল সংযোজিত হয়। ন্যায়পালের দফতর বস্তুত দেশের প্রশাসনে জবাবদিহিতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই করা হলেও আজ অবধি তা কার্যকর হয়নি। আর বাংলাদেশের আমলাদের দক্ষতা নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ না থাকলেও তাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, অপশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পক্ষপাতদুষ্টতার বহু নজির রয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, বিগত জাতীয় নির্বাচনে দেশের আমলাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং পক্ষপাতিত্বের কারণে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। সে জন্য এক চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে পতিত হয়েছে বাংলাদেশ। দেশে এবং দেশের বাইরে এমন প্রশ্নযুক্ত নির্বাচনকে গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন নির্বাচনের জন্য অনেকাংশে দায়ী ভোট পরিচালনায় নিয়োজিত আমলারা।

তাদের কর্তব্যনিষ্ঠার অভাবে এবং জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় এমন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়েছে। আর তাতে গঠিত হয়েছে কেবল সরকার সমর্থক প্রার্থীদের নিয়ে জাতীয় সংসদ। এমন সংসদের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহি করার সুযোগ থাকবে না। একটি বশংবদ সংসদের সরকারের লেজুড়বৃত্তি করা ভিন্ন আর কিছু করার অবকাশ নেই। রাষ্ট্রের যে অঙ্গের অন্যতম দায়িত্ব হলো সরকারের কর্তব্যকর্মের তদারকি করা এবং জবাবদিহি নেয়া, সে প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হলে তা শুধু সরকারের জন্য নয় রাষ্ট্রের ও জাতির জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।

এ দেশে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি শুধু রাষ্ট্রাচারেই যে গড়ে ওঠেনি তা নয়; সমাজে সর্বত্র এর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আজকে সমাজে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রাজপথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন বহু মানুষের মৃত্যু। এ নিয়ে কিন্তু কোনো জবাবদিহিতা নেই! পত্রিকার রিপোর্টে এসব সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যা বেরিয়ে আসছে তার কেন কোনো প্রতিকার নেই?

এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট, সড়ক পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতর চরম অনিয়ম অব্যবস্থা ও দুর্নীতি বিরাজ করছে। তাই এসব সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে যে গাফিলতি তার কোনো জবাবদিহি নেই। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, এখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন যে মানুষ মারা যাচ্ছে তাতে দেশবাসী উৎকণ্ঠিত হলেও সংসদ সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। এখন পর্যন্ত সংসদে এমন জরুরি বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সংসদের এমন নির্লিপ্ততা থেকে বোঝা যায়, সংসদের জবাবদিহিতা নেয়ার যে দায়িত্ব তা বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়েছে।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement