২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পালানোর চিন্তা মাথায় আসছে কেনো?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। - ছবি : সংগৃহীত

হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেশ ছেড়ে পালানোর চিন্তা মাথায় আসছে কেন? তিনি কেন নির্বাচনের ঠিক মাস খানেক আগে এরকম শঙ্কার কথা বলেলেন? তিনি কি সেরকম কোন কিছুর আভাস পেয়েছেন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,
নিজের দল ক্ষমতায় না থাকলেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না। ক্ষমতায় থাকলেও আমরা আছি, না থাকলেও আছি।

তিনি আরো বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে, ক্ষমতায় না গেলেও দেশ ছেড়ে পালাবে না। উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমরা। আগের চেয়েও অনেকগুণ বেশি আমরা উন্নয়ন উপহার দিয়েছি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

টানা দশ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় কোন দল ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড নেই। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতায় আসার সব পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছেন। এমনকি তাদের অধীনেই জাতীয়ৈঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিরোধী দলের নেতা ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছেন। এছাড়া বিএনপিসহ বিরোধী দলের জনপ্রিয় সব নেতাকর্মীর নামে-বেনামে একাধিক মামলা রয়েছে। সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে বন্দী। নির্বাচনে ঠিকমত মনোনয়ন ফরমও জমা দিতে পারছেন না বিএনপিসহ বিরোধী দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা।

অন্যদিকে সরকারের সমালোচনা যারা করেছেন তাদেরকেই বিভিন্ন মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও সরকারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায় নাই। মিডিয়াসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতারা হাইকোর্ট-জর্জকোর্টে জামিনের জন্য ছুটে চলছেন।

এছাড়া সরকার নাকি দেশে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করছেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তারা মানুষের কাছে, ভোটারদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। তারপরও তাদের দেশ ছেড়ে পালানোর চিন্তা মাথায় আসছে কেনো? আওয়ামী লীগের নেতারা কি স্বস্তি পাচ্ছেন না?

বিগত পাঁচ বছর দেশে বিরোধী দল কোন হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচী দেননি। ছিল না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগও। ফলে সরকার বিনা বাধায় সবকিছু করতে পেরেছে।

এমনকি নিরীহ কোটা সংস্কার বা স্কুল শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনেও সরকারি দল ও তার অঙ্গসংগঠন এমনকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও বল প্রয়োগ করেছে। কোটা সংস্কার নিয়ে সরকার বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে ছল-ছাতুরী করার চেষ্টা করছে। এই আন্দোলনের নিরীহ নেতারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। তারা প্রতি মাসে কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন।

আর দুর্নীতির কথা নাই বললাম। ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক খাত ধ্বংস প্রায়। শিক্ষাখাতে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। প্রশ্ন ফাঁসসহ যাবতীয় অপকর্ম বিনা বাধায় করেছে। এরপরও তারা ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা করছেন কেন ?

নির্বাচন কমিশনে আপনাদের পছন্দের লোক। প্রশাসন আপনাদের সাজানো। তবুও এত ভয় কেন ?

আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে সুযোগ দিন যাতে তারা বিনা শঙ্কায় তাদের হারানো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেন। তাই জনগণের হারানো ভোটাধিকারটা ফিরিয়ে দিন। তাদেরকে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ দিন।

কোন শঙ্কা নয়, দেশের মানুষের উপর ভরসা রাখুন।

আব্দুল কাদির, চট্টগ্রাম থেকে। (এ লেখার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ লেখকের)


আরো সংবাদ



premium cement
বানারীপাড়ায় হত্যা ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার ২ রাবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ‘ট্রাম্পের সাথে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’ তাজিকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে : মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন আলাল টানা দুই ওভারে ২ উইকেট শিকার তাসকিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন’ আমতলীতে কুকুরের কামড়ে ২৭ জন হাসপাতালে গুমের সাথে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না : প্রেস সচিব আরো ৯ দেশকে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে চীন

সকল