০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১,
`

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মার্টিনেজ প্রতিরোধ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মার্টিনেজ প্রতিরোধ - ফাইল ছবি

দুর্দান্ত কিপিং দক্ষতায় গত পরশু রাতের ম্যাচে ছয়টি গোল সেভ করে স্মরণীয় জয় এনেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

২০২১ কোপা আমেরিকার আগে ক’জনে চিনতো এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। সেবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিতে তিনটি টাইব্রেকার ঠেকিয়ে হিরো হয়ে যান। এরপর ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে পোস্ট অক্ষত রেখে চ্যাম্পিয়ন করান দলকে। এরপর কাতার বিশ্বকাপে এই আর্জেন্টনাই গোলরক্ষক সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারই জিতে নেন। তাকে ছাড়া কাকেই বা দেয়া হতো এই পুরস্কার। প্রতি ম্যাচেই ছিল দুর্দান্ত সব সেভ।

দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় নিশ্চিত কার সেভ, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে দুই টাইব্রেকারে রুখে দেয়া , ফাইনালে শেষ মুহূর্তে অসাধারণ এক সেভ করে আর্জেন্টিনার হার এড়ানো এবং টাইব্রেকারে একটি শট রুখে দলকে বিশ্বকাপ এনে দেয়া। সর্বশেষ কোপা আমেরিকায় ও আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন তার টাইব্রেকার ঠোকনোর কৃতিত্বে।

এই মার্টিনেজের বাকি ছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। এবার সেই আশাও পূরণ। আর পরশু অ্যাস্টন ভিলারে মাঠে নিজেকে পুরনো রূপেই ফিরে পেলেন মার্টিনেজ। তার দুর্দান্ত সব সেভেই বায়ার্ন মিউনিখকে ১-০ গোলে হারায় ইংলিশ ক্লাবটি। জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে অ্যাস্টন ভিলার জয়ও ২৪ বছর পর। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ তখনকার ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে এই বায়ার্নকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।

৪১ বছর পর অ্যাস্টন ভিলার হোম ভেন্যু ভিলা পার্কে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা। এই ম্যাচটা তারা স্মরণীয় করে রাখলো আসরের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নকে হারিয়ে। আর এ জয়ের অন্যতম কারিগর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও দুই কোপা জয়ী গোলরক্ষক। নানা কারণে মাঠে বিতর্কিত হন মার্টিনেজ। ২০২১ কোপা আমেরিকায় টাইব্রেকারের সময় কলম্বিয়ার ফুটবলারদের উত্যক্ত করে হলুদ কার্ড পান। বিশ্বকাপের ফাইনালের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ফারসী দলকে উপহাস করে অশ্লীল ভঙ্গি করা এরপর এবারের বিশ্বকাপ বাছাই অখেলোয়াড়ী আচরণে জন্য দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া।

এই শাস্তির পরই পরশু রাতে তার দুর্দান্ত কিপিং। ছয়টি গোল সেভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে এবেবারে শেষ সময়ে বায়ার্নের হ্যারি কেনের হেড ডান দিকে শরীর ভাসিয়ে কর্নার করাটাই দলকে এই স্মরণীয় জয় এনে দেয়। এর ঠিক আগেই কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো একটি সেভ মার্টিনেজের। ৭৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা জন ডুরান্ডের গোল এগিয়ে নেয় অ্যাস্টন ভিলাকে। এরপর বায়ার্নের ঝড় বলতে গেলে একাই সামলিয়েছেন মার্টিনেজ।

সেইসাথে কোচ উনাই এমেরির অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরেই টানা দুই ম্যাচ জিতলো অ্যাস্টন ভিলা।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement