ব্রিটেনে টিউলিপ-রুশনারাদের সাথী হলেন আফসানা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২৬
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে আবারো এমপি হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন নারী টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী ও রূপা হক। তবে এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। তিনি হলেন আফসানা বেগম। এ চারজনই নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে।
আফসানা বেগম এমপি হয়েছেন পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে। তার বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত বলে আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬০টি ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৬টি ভোট।
অপরদিকে, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮ হাজার ৮০টি ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনসারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২টি ভোট।
এর আগে ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন টিউলিপ। সে সময় তিনি মোট ৩৪ হাজার ৪৬৪টি ভোট পেয়েছিলেন।
রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫২টি ভোট। এর আগে ২০১৭ সালে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে তিনি ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর ব্রিটিশ এমপি রূপা হক লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে তৃতীয়বারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রূপা হক নির্বাচনে ২৮ হাজার ১৩২ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গেল্যান্ট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপা।
দেশটিতে আগের যেকোনো সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে হাউজ অব কমেন্সে রেকর্ড সংখ্যক নারীদের প্রবেশ ঘটবে। এর আগে যুক্তরাজ্যের সংসদ নির্বাচনে ৬৫০ আসনের সর্বোচ্চ ২০৮ আসনে জয় পেয়েছিলেন নারীরা।
এ নির্বাচনে লেবার পার্টির ভরাডুবি হলেও এই চার নারী প্রার্থী বড় জয় পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬০০ আসনের ফলাফল হাতে এসেছে। এর মধ্যে কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৩০টি আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ১৯৬ আসন।
নির্বাচনে জয়ী হতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬ টি আসন। ইতোমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পার করে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
১৯৮৭ সালের পর এটা কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।