১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

২৮ অক্টোবরের বিচারের দাবীতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিহত শহীদদের স্মরণে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা ও প্রতিবাদ সভা লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন “বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স এলায়েন্স” পূর্ব লন্ডনের হোটেল সোনারগাঁ হলরুমে সোমবার এ আলোচনা ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী লায়েক আহমদের পরিচালনায় পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ শরিফ আলম। সাবেক শিবির নেতা ও গণমাধ্যম সাংবাদিক মুসলিম খানের স্বাগত বক্তৃতার পর অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ইউকের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সামসুদ্দিন আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, ছাত্রশিবির সিলেট জেলা উত্তরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মুনিম, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি জাকির চৌধুরী, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সভাপতি শামীমুল হক, অনলাইন একটিভিস্ট ইউকের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সেক্রেটারী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা ও মানবাধিকার কর্মী তরিকুল ইসলাম, আলী শাহজাদা , কাজী নুরুজ্জামান, মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাহিন খান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সংগ্রামী সভাপতি আব্দুস সামাদ রাজ, সাইফুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. শামসুদ্দিন আহমেদ খান বলেন, ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষমতাসীন সরকার পল্টন ট্র্যাজেডির এই জঘন্য মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করেনি। বরং রাজনৈতিক বিবেচনায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজ হোক কাল হোক এই নারকীয় তাণ্ডবের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। তিনি দেশ রক্ষায় আগামীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

সাবেক ছাত্রশিবির সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মুনিম আলোচনা সভা থেকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনপ্রিয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর অবিলম্বে মুক্তির জোর দাবী জানান। মুক্তি দেয়া না হলে তিনি প্রবাস থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুমকি দেন।

সাবেক ছাত্রশিবির নেতা তরিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, রক্তে আর লাশে সয়লাব আজ বাংলাদেশ। বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে দেশ ও জাতি আজ জিম্মি। এর থেকে মুক্তি দরকার, রাজপথের আন্দোলন দরকার। ছাত্রশিবির জীবন দিয়েও সন্ত্রাসীদের বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করবে, ইনশাআল্লাহ।

সাইফুর রহমান বলেন, ভয় দেখিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে আর থামানো যাবে না। বিপ্লব অচিরেই বাংলাদেশকে নরপিশাচদের হাত থেকে রক্ষা করবে। দেশের জনগন আজ বিপ্লবের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতির বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম সবাইকে সফল একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement