২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে জাতীয় দলের দায়িত্বে রাখা উচিত না’

-

নৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে জাতীয় দলের কোনো দায়িত্বেই রাখা উচিত না। শ্রীলঙ্কা সফর চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের ক্যাসিনো যাওয়ার ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের সময় কোচ কোনো অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হলে তার প্রভাব পড়ে খেলোয়াড়দের ওপরও। ভক্তদের দাবি জাতীয় দল সংক্রান্ত কোনো দায়িত্বেই রাখা উচিত না সুজনকে। এমন মন্তব্য করেন ক্রীড়া সংগঠক ও জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ খালেদ মাহমুদ সুজন। নানা সময় নানা কারণে যিনি ইতিবাচক ও নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হন। স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর, আবারো আসেন আলোচনায়। ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দলের সাথে যান শ্রীলঙ্কায়। সেখানে গিয়ে পুরনো অভ্যাসটা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিসিবির জার্সি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টজ অ্যান্ড স্পোর্টজের এক ব্যবসায়ীর সাথে যান ক্যাসিনোতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। সব মহলেই সমালোচনার মুখে পড়েন সুজন। শ্রীলঙ্কার দলের ভরাডুবির অন্যতম কারণও যে তার শৃঙ্খলাহীনতা, অনেকে সেটিও বলে ফেলেন।
বিসিবি পরিচালক হিসেবে বেশ কয়েকটি কমিটিতে থাকার পাশাপাশি, তিনি আবাহনী ও ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ। বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট অ্যাকাডেমিরও হেড কোচ। এক সাথে এত দায়িত্বে থাকা নিয়েও হয়েছে সমালোচনা। কিন্তু নৈতিকভাবে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তানভির মাজহার তান্না বলেন, ‘একজন মানুষ যদি একটা ক্লাবের কোচ হন, সেই তিনি আবার বিসিবির পরিচালক ম্যানেজার এবং জাতীয় দলের কোচ। এটাতো নৈতিক দুর্নীতি। এটা তিনি করতে পারেন না।’
কোচের এমন আচরণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দলের ওপর। আর সমর্থকদেরও দাবি জাতীয় দল সম্পর্কিত কোনো দায়িত্বেই রাখা উচিত না সুজনকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা খুবই নৈতিক স্খলনজনিত বিষয়। এটা দলের ওপর প্রভাব ফেলে। আপনি জুয়া খেলছেন মানেই আপনার খেলার প্রতি, খেলোয়াড়দের প্রতি মনোযোগ নেই। এটার প্রভাব খেলার ওপর পড়বে।’ সমর্থকরা বলছেন, ‘ক্যাসিনো মানেই জুয়া খেলা। ক্রিকেটেও তো জুয়া খেলার ট্রেন্ড চালু আছে। উনিতো ম্যাচও পাতাতে পারেন। এই ধরনের একজন মানুষের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক শেষ করাই উচিত।’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বোর্ডের সাবেক প্রধান সাবের হোসেন চৌধুরী মনে করেন দলের ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধান করে, জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত সম্পৃক্ত সবাইকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিসিবিতে এই জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই, জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক।


আরো সংবাদ



premium cement
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার অতিসত্বর নির্বাচন হওয়া দরকার : আমীর খসরু জেলখানায় হত্যা : শেখ হাসিনা ও জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ডিএসইসি সদস্যদের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল, সদস্যসচিব আরেফিন এমন একটি দেশ চাই যাকে কেউ ভাগ করতে পারবে না : জামায়াত আমির কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় আটক ৫ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে হাসপাতালে রিজভী জাতীয় ফুটবল দলকে আওয়ামীকরণ করে ধ্বংস করা হয়েছে : মেজর হাফিজ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নতুন ডিজি আবু সুফিয়ান আ’লীগের মতো অপকর্ম করব না, বাংলাদেশ গড়ব : পিন্টু

সকল