২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাগরে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতীয়রা

সাগরে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতীয় জেলেরা - নয়া দিগন্ত

বঙ্গোপসাগরে দেশীয় জেলেরা মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয় জেলেরা ট্রলিং ট্রলার নিয়ে সাগরের বয়া এলাকা থেকে পূর্বে কুয়াকাটা উপকুল পর্যন্ত দাপিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ জুলাই বঙ্গোপসাগরে কোষ্টগার্ডের অভিযানে ৩২ ফিসিং বোট সহ ৫ শতাধিক ভারতীয় জেলে আটক হয়েছে।

শরণখোলা ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, আমাদের ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা ট্রলারের জেলেরা সুন্দরবনের দুবলারচর এলাকায় মাছ ধরার সময় গত কয়েকদিনে সাগরের বয়া এলাকায় অসংখ্য ভারতীয় ফিসিং ট্রলারের জেলেদের মাছ ধরতে দেখেছেন। আবহাওয়া খারাপ হলে ভারতীয় জেলেরা হিরণপয়েন্টের অদুরে ছোট খালে আশ্রয় নিয়ে থাকে বলে আবুল হোসেন জানান।

বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানান, সাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকার করা ভারতীয় জেলেদের নিত্যদিনের ঘটনা। ৬৫ দিনের অবরোধে আমাদের দেশীয় জেলেরা মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয়রা ঠিকই ধরে নিয়ে যাচ্ছে । যার জলজ্যান্ত প্রমাণ গত ৭ জুলাই পায়রা সমুদ্র বন্দরের অদুরে সাগরে মাছ ধরার সময় কোষ্টগার্ড ৩২ ফিসিং বোট সহ ৫ শতাধিক ভারতীয় জেলে আটকের ঘটনা। ঝড়ের কবলে পড়ে তারা এসেছে ভারতীয় জেলেদের এ দাবী তিনি নাকচ করে বলেন, তাই যদি হয় তা হলে তাদের নিদেন পক্ষে হিরণপয়েন্ট দুবলারচর আলোরকোল পর্যন্ত আসার কথা।

ফিসিংবোট এফবি খাইরুল ইসলামের মিস্ত্রি শরণখোলা উপজেলার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের মোঃ রফিক জানান, বরাবরের মত ভারতীয় ট্রলিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরের বয়া এলাকা থেকে পূর্বে কুয়াকাটা উপকুল, সোনারচর, ঢালচর পর্যন্ত সাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা অবাধে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তিনি গত ২২ জুন সাগরের সোনারচর এলাকায় শতাধিক ভারতীয় ফিসিং বোটকে মাছ ধরতে দেখেছেন। ওই সময় তিনি তার বোটের মবিল ফুরিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় একটি বোট থেকে কয়েক লিটার মবিল চেয়ে নেন বলে রফিক মিস্ত্রি জানান।

মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করায় শরণখোলাসহ উপকুলীয় এলাকার জেলে পল্লীগুলিতে হতাশার পাশাপাশি  ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অপরদিকে শরণখোলা, পাথরঘাটাসহ অন্যান্য এলাকার অনেক ফিসিংবোট বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মাছ শিকার করে শরণখোলা ও পাথরঘাটা মৎস্যঘাটে ফিরে এসে রাতের মধ্যেই মাছ ট্রাক বোঝাই করে খুলনা ও বরিশালের মোকামে চালান করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে চলেছেন। বিশেষ করে শরণখোলার মজিবর তালুকদার, বেলায়েত খান, ও আবুল হোসেনের ফিসিং বোট নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চোরাইভাবে সাগরে মাছ ধরছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ৬ জুলাই রাঙ্গাবালীর কাছে সাগরে ৫/৬ টি ফিসিং বোট ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার খবর তার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখবেন। 

 


আরো সংবাদ



premium cement
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালকের বিদায়ী সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার স্বামীসহ সাবেক এমপি হেনরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিলেটে ৫ হাজার কোটি টাকার দুই ‘মেগা’ প্রকল্প বাতিল পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে খুলনায়, কাল উদ্বোধন দেশে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র এখনো চলছে : বিএনপি মহাসচিব চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা শ্রম সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাবনা পেশ করেছে পোশাক শ্রমিক নেতারা স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রশ্নে যা বলল ভারত সরকারের মুখপাত্র

সকল