শহীদ মিনারে জুতার ছড়াছড়ি!
- রংপুর অফিস
- ২৬ মার্চ ২০১৯, ২১:১৬
স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে এসে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠতে কোনো দ্বিধাবোধ করেননি অনেক মানুষ। এমনকি শহীদ মিনারের পুরো সিড়ি জুড়ে ছিল জুতার ছড়াছড়ি। বিষয়টিকে খুব লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় সকালে খালি পায়ে প্রভাত করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আসে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে। কিন্তু এবার দেখা গেলো রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জুতার আধিক্য। অনেকেই শহীদ মিনারের সিড়ি দখল করে জুতা রেখে উপরে উঠেছে। আবার অনেককেই দেখা গেলো জুতাসহ শহীদ মিনারে উঠে ফুল দিচ্ছে। ছবি তুলছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদেরকেই দেখা গেছে বেশি।
বিষয়টি নিয়ে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। উপস্থিত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এই দিনটি আমাদের অনেক গৌরবের। অনেক ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এই দিনটিতে আমরা সেই সব বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাই শহীদ মিনারে একত্রিত হই। কিন্তু শহীদ মিনারে অনেকেই জুতা নিয়ে উঠে ফুল দেয়া আর ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিষয়টি একেবারেই অনৈতিক। আমাদের নৈতিকতাবোধ বাড়াতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্জন আমরা কখনই পাবো না।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সহকারী সচিব জাহিদ হোসেন লুসিড জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক। বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ, মাইকে ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ বিশেষ করে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেরা এবং শিক্ষার্থীদের যেভাবে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত।
তিনি জানান, বিষয়টি নিজের নৈতিকতার। আগামী দিবসগুলোতে জুতা বাইরে রেখে শহীদ মিনার ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার।
আরো পড়ুন : নিজেদের মধ্যে মারামারি, শহীদ মিনার ভাঙচুর করলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা
জবি প্রতিবেদক, (০৮ অক্টোবর ২০১৮)
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এক পর্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছেন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে হিরো (১৩তম ব্যাচ) ও নোমানকে (১২তম ব্যাচ) পুরাণ ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা থেকে আগত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় সমাজকর্ম বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী নোমানকে সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীরা মারধর করেন।
মারামারির এক পর্যায় নোমানের মাথা ফেটে যায়। পরে দুপুর একটায় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী জোবায়ের আল মাহমুদকে মারধর করেন। এদিকে মারামারির সময় জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দেয়ালে লাগানো লোহার রড ভেঙ্গে মারামারিতে জড়ায় উভয় পক্ষের কর্মীরা।
পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে কাঁঠালতলায় ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল মারামারির ঘটনার সমাধান করতে বসলে তাদের সামনেই ছাত্রলীগের দুগ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়।
এসময় ছাত্রলীগের দুগ্র“পের সংঘর্ষ কলাভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, ক্যান্টিন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আবার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের জুনিয়রদের র্যাগিংকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমরা তাদের সিনিয়রদের নিয়ে বসে ঘটনার সমাধান করি।
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে আমারা তাদের শান্ত করে বিষয়টির সমাধান করি।
জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা