২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তাড়াশে উৎকোচ ছাড়া মিলছেনা সেচ সংযোগ

তাড়াশে উৎকোচ ছাড়া মিলছেনা সেচ সংযোগ
তাড়াশে উৎকোচ ছাড়া মিলছেনা সেচ সংযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেচ সংযোগ দেয়ার প্রতিবাদে ব্যতিক্রম বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। শনিবার দুপুরে রমজান আলী নামে এক সংযোগ প্রত্যাশী কৃষক তার বোরো ক্ষেতের আইলে দাঁড়িয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাড়াশ বিলিং এরিয়া অফিসের ইন্সপেক্টর আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেন আরও অর্ধ শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক।

উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আরংগাইল গ্রামের ভুক্তভোগী ওই কৃষক বলেন, নিয়মানুযায়ী ১২৫ ফুট দূরত্বের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগের জন্য গত ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিস বরাবর আবেদন করেন। একই গ্রামের আবু হাসেম নামে আরেক কৃষক ২৭ ডিসেম্বর তার (রমজান আলীর) স্কীমের নিকটেই বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে কমপক্ষে ৩৫০ ফুট দূরত্বে সেচ সংযোগের জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে আরও একটি আবেদন করেন।

তাদের দু’জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জানুয়ারী মাসের ১২ তারিখে সংযোগ দেয়ার স্থান পরিদর্শনে যান ইন্সপেক্টর আব্দুল হামিদ। সেখানে গিয়ে তিনি তার (রমজান আলীর) কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা উৎকোচ চেয়ে বসেন।

ভুক্তভোগী ওই কৃষক আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তার আবাদী জমিগুলো তিনি ২টি ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে দিয়ে চাষাবাদ করছেন। অথচ আবু হাসেমের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ পেয়ে গত কয়েক মাস আগের নতুন স্কীমে সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ওই স্কীমের দূরত্ব বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যে দুটি নতুন খুঁটি পোতা হয়ে গেছে। তবে কৃষক আবু হাসেম বলেছেন, নিয়মের মধ্যেই তিনি সেচ সংযোগ পেয়েছেন।

এদিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি মাসেই আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী কৃষক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, তারাও উৎকোচ দিয়ে সংযোগের অপেক্ষায় দিন গুণছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাড়াশ বিলিং এরিয়া অফিসের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) আব্দুল হামিদ বলেন, এসব বিষয়ে অফিসে কথা বলুন।

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। সংশ্লিষ্ট অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করুন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) আব্দুল হামিদ টাকা নিয়েছেন কিনা তা বলতে পারবনা। তবে অভিযুক্ত স্থান সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হলে আবু হাসেমের সংযোগ বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement