জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সিইসি : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:১৮, আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৩
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, জাতীয় নির্বাচনে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারির পর এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও সরকারের ইচ্ছে পূরণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কারসাজি করে সরকারের পক্ষে রায় নেয়ার জন্য জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাই ইভিএম বাতিল করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।
রোববার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন বিচারের নামে চলছে অবিচার। আর এ কারণেই জামিন পাচ্ছেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছের প্রতিফলন-ই ঘটছে আদালতের সিদ্ধান্তে। তার জামিন পাওয়ার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
রিজভী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য নির্বাচন কমিশন আরেকটি প্রধান অস্ত্র নিয়ে দহরম-মহরম শুরু করেছে, সেটি হলো ইভিএম। কারণ এই যন্ত্রটি দিয়ে দ্রুতই ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব।
রিজভী আরো বলেন, আমরাও বিভিন্ন সময়ে বারবার বলেছি, ‘ইভিএম ২৮ বছরের পুরনো একটি প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে কোনো কোনো দেশে ভোট গ্রহণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ইভিএম একটি অস্বচ্ছ ভোটগ্রহণ পদ্ধতি, যা গণতন্ত্র চর্চায় সহায়ক নয়। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ইভিএম সহজেই টেম্পার করা যায়। তাই ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল পাওয়া অসম্ভব।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে ভোটাররা শংকিত।
সোমবার ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিএনপির সমাবেশ
এদিকে ৩০শে ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির উদ্যোগে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ-মিছিল-কালো ব্যাজ ধারণ এবং দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। ঢাকায় দিবসটি উপলক্ষে সোমবার নয়া পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ২টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা