এনআরসি নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কিছু নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫১, আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৯
ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
সোনারগাঁও হোটেলে সিএসিসিআই-এর ৩৩ তম সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. মোমেন বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এনআরসি আতঙ্কে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ভারত থেকে মানুষ আসার সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানিনা। তাই এ সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত হবে না। তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের কারণ বুঝতে পারছি না।
চীনের বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে এমওইউ সই হয়েছে
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য চীনের সাথে সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। কেবলমাত্র অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যালায়েন্সেও বাংলাদেশ কার্যকরভাবে যুক্ত হবে।
গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএসিসিআই) ৩৩তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সিএসিসিআই এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সাফটা (দক্ষিণ এশিয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল চুক্তি), সার্ক মোটর ভেইক্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট, সার্ক রেলওয়ে অ্যাগ্রিমেন্ট ও বিসমটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল চুক্তি আমরা সই করেছি। এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম), কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন এন্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং ম্যাজার্স (সিকা), এশিয়া কোঅপারেশন ডায়ালগ (এসিডি), আশিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) মত আঞ্চলিক উদ্যোগগুলোতে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
কোনো সঙ্কটের পর বিক্ষিপ্তভাবে বিবৃতি না দিয়ে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোর সব সুযোগ কাজে লাগাতে বিস্তারিত সমীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের কাছে আসার জন্য এফবিসিসিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।