২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুল চাষে কপাল খুলছে চাষীদের

- নয়া দিগন্ত

কুল চাষে কপাল খুলছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাঁচতারা গ্রামের চাষীদের। উপজেলার বালুচরে কুল চাষ করে গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে দিয়েছে কিছু পরিবার। এর সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসীও। আপেলকুল, বাউ কুলসহ দেশি প্রজাতি মিলে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার বরই উৎপাদন করেছেন উপজেলার পাঁচতারা গ্রামের বরই চাষীরা। ফলে চরবাসীদের মাঝে বরই চাষে আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। বাজারে এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় কুল বা বরই। দেশী বরইয়ের চাহিদা সারা বছরই লক্ষ্য করা যায়।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধলেশ্বরী চরাঞ্চলে চলতি বছর প্রায় ১০ হেক্টর অনাবাদী জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির বরই চাষ করেছে প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলার চরাঞ্চলে মোট ২ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি আছে। এর মধ্যে চাষযোগ্য জমি প্রায় ১ হাজার হেক্টর। পতিত জমিতে এর আগে গম, ভুট্টা, তিল, তুলা, কলাইসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে লাভ বেশি না হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে এখানে বরই চাষের প্রচলন শুরু করেছে কৃষকরা। পরিচর্যা আর সামান্য খরচ করেই লাখ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা এখন মহাখুশি।

উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা গ্রামের বরই চাষী নিমাই খান জানান, গত দশ বছর আগে তিনি ছয় একর বালু জমিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আপেল কুলের ৬০০টি চারা রোপণ করেন। গত বছর আরো ৫১ হাজার টাকা পরিচর্যা বাবদ খরচ করে বরই বিক্রি করেছেন প্রায় ৩ লাখ টাকার। ফলে এখন তিনি শুধু লাভের মুখ দেখছেন।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকের পাশে নতুন নতুন প্রযুক্তি আর চরাঞ্চল ভিত্তিক ফসল নিয়ে এগিয়ে এলে নদীমাতৃক উপজেলার চরাঞ্চলের জমিকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। চলতি বছর উপজেলা জুড়ে বরই চাষ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭ হেক্টর জমিতে আপেল কুল এবং ৩ হেক্টর জমিতে বাউ কুলসহ দেশীয় জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। বরই চাষে কৃষক বেশি লাভবান হওয়ায় চরাঞ্চলে এ ব্যবসাকে ঘিরে অনেক মানুষের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement