২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`
সজিব ওয়াজেদ জয় বলল

 ‘ভাবী ঢাকায় আর একটা কেয়ামত হয়ে গেছে’

লিপি ওসমান - ছবি : সংগৃহীত

সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পত্নী লিপি ওসমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করে বলেছে, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমি দেশে ছিলাম না। আমি কানাডায় ছিলাম। আসলে আমাদেরকে থাকতে দেয়া হয়নি। ২১ আগস্টের আমার বাসার ল্যান্ডফোনে ফোন আসে। ফোন করেছিলেন সজিব ওয়াজেদ জয়।’

ফোন ধরার পর আমাকে ভাবি সম্বোধন করে বললেন, ‘ভাবি ঢাকায় আর একটি কেয়ামত হয়ে গেছে। মাকে আবার মারতে চেষ্টা করা হয়েছে। বোমা হামলা হয়েছে। অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। আইভী চাচী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।’ আমি বললাম আপা কেমন আছে? উত্তরে জয় বললেন, ‘মা ভালো আছে।’

লিপি ওসমান বলেন, ফোনে কথা বলে আমি সেখানেই বসে পড়ি। নারায়ণগঞ্জের ১৬ জুনের সেই বোমা হামলার ঘটনা আমার মাথায় ঘুরছিল। আমি উপস্থিত হয়েছিলাম সেই রক্তাক্ত স্থানে যেখানে পড়েছিল নিহত মানুষগুলো। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল দিয়ে হাঁটছিলাম কারো হাতের অংশ কারো আঙ্গুল কারো পা সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করে দেয়া হচ্ছিল।

লিপি বলেন, আমার স্যান্ডেলের সোল রক্তের নিচে ডুবে যাচ্ছিল। আমি সেই নৃশংসতা দেখেছি। আধা ঘণ্টার জন্য জানতাম আমি বিধবা হয়েছি। আধা ঘণ্টার জন্য জানতাম শামীম সাহেব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আমি মেইন রোড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, আমাকে কেউ একজন রিকশায় তুলে আমার বাবার বাড়িতে নিয়ে গেল। আমি তার নাম জানি না। সেখানে গিয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আধাঘণ্টা পরে আমি জানতে পারি শামীম সাহেব বেঁচে আছেন তিনি হাসপাতালে আছেন। কিন্তু আমাদের অনেকে নাই।

লিপি ওসমান বলেন, ‘সিএমইচে গিয়ে যখন পৌঁছালাম তার আগে প্রধানমন্ত্রীর (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী) সঙ্গে আমার ফোনে কথা হলো। তিনি শুধু আমাকে এই কথা বললেন যে ‘শামীমকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হও। যারা এই হামলা করেছে তারা আবার করবে। থেকো না নারায়ণগঞ্জে, তোমার আশেপাশে কারা আছে তাকে দাও আমি ফোনে বলে দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন শামীম কেমন আছে? আমি বললাম, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি শ্বাস নিচ্ছে কিন্তু হাত পা আছে কি না আমি দেখিনি।’

‘আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভিপি বাদল ভাই তাকে দিলাম। তিনি ওনাকে নির্দেশ দিলেন। আমরা রাতেই সিএমএইচে চলে গেছি।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মীনি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথাগুলো বলেন।

বুধবার সদর উপজেলা মিলনায়তনে ওই মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লিপি ওসমান। এ সময় তিনি ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে ঘটিত বোমা হামলার দৃশ্য তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা বারী সাহেদ, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, পরিচালক সদস্য প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম, ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গাজীপুরে রেললাইন অবরোধ ঈদগাঁওতে গুলিবর্ষন ও দফায় দফায় ডাকাতি সমীকরণের চাপে চ্যাপ্টা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মেহেদি সাময়িক বরখাস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আলোচনা নয় : হামাস আশুলিয়ায় নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার বরখাস্ত স্বেচ্ছাসেবক দল জার্মানি পশ্চিম শাখার আহ্বায়ক মাহমুদুল, সদস্য সচিব রেদোয়ানুল চকরিয়ায় বাস-ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মহিলা নিহত উজিরপুরে সাংবাদিককে আসামি করে বিস্ফোরক মামলা দায়ের

সকল