২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হত্যা মামলায় নূর হোসেনের বান্ধবী নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ

হত্যা মামলায় নূর হোসেনের বান্ধবী নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ - সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনে বান্ধবী সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলাটির অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছরোয়ার জাহান সরকার এ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা রাতে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করার পর জানতে পারে লাশটি নোয়াখালি জেলার মাসুমপুর গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে খায়রুল ইসলাম জুয়েলের (৩০)।

আদালত সূত্র থেকে জানা গেছে, জুয়েল হত্যা মামলায় কিলার লঞ্চো সোহেল, কালা সোহাগ ও মনা ডাকাত গ্রেফতার হয়। তারা এই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে পৃথক জবানবন্দি প্রদান করেছিলেন।

জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছিলেন, মাদক ব্যবসার দেনা পাওনা নিয়ে নীলার সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ ছিল। এর জেরে নীলার নির্দেশে খায়রুল ইসলাম জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে দেহ ও মাথা পৃথক দুটি স্থালে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করলেও নীলাসহ ১৭ জনকে হত্যার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী।

তবে, এই ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ছিল। এতে অধিকাংশ আসামিকে কেন অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে এর ব্যাখ্যা চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিস্তারিত উল্লেখ করেনি।

আদালত মনে করেছেন, এ চার্জশিটটি স্পষ্ট নয় এবং দাখিলকৃত চার্জশিট সন্তোষজনক বলে প্রতীয়মান হয় না।

সূত্রটি আরো জানায়, আসামিদের জবানবন্দি ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হওয়ায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিআইডিকে নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement