‘এই যন্ত্রনা থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো’
- জালালউদ্দিন মনির, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
- ২৮ জুন ২০১৯, ১৫:২৫
শরীরের বিষ ব্যাথায় কানতে কানতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, পচনের স্থানে পোকা ধরে গেছে, পোকার কামড় আর সহ্য করতে পারছি না। এই জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার পেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। শরীরের অসহ্য যন্ত্রনা সইতে না পেরে এই কথাগুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামের কোহিনুর বেগম নামে এক কিশোরী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রতনপুর গ্রামের মৃত কবির হোসেনর মেয়ে কোহিনুর বেগমের, গত ৪ বছর আগে হঠাৎ করে মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার পিঠে অপারেশন করে তিনটি রড স্থাপন করা হয়। সেই থেকে শরীরে রডের বোঝা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোহিনুর। অর্থের অভাবে নির্ধারিত সময়ে সেই রড খুলতে না পারায় চামরা ছিড়ে রডগুলো বেরিয়ে গিয়ে ওই স্থানে পচন ধরে পোকা হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ঔষধ কিনে খাওয়ার টাকা না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রচন্ড যন্ত্রনা তাকে ভোগ করতে হচ্ছে।
কোহিনুরে বাবা-মা-কেউ বেঁচে নেই, ৫ বছরের একমাত্র একটি ছোট ভাই নিয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছেন। দোকানে দোকানে ভিক্ষা করে সংসার চালিয়ে ছোট ভাইকে রসুল্লাবাদ হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াচ্ছেন।
নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে ও সমাজের সকল শ্রেণীর মানূষের কাছে সহযোগিতা চেয়ে কোহিনুর বেগম বলেন, আমি এই জগতে এতিম, আমার মা বাবা কেউ নেই, আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবো।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েমুল হুদা বলেন, কোহিনুরের দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে রডগুলো বের করে সুচিকিৎসা না দেয়া হলে তার জীবনের মৃত্যুর হুমকি রয়েছে এবং এই চিকিৎসাটি ব্যয়বহুল হবে।
কোহিনুর বেগমকে আর্থিক সহায়তা করতে ইচ্ছুকরা যোগাযোগ করতে পারেন। বিকাশ নম্বর : ০১৮৪৬৯৮৭২৮১ (ব্যক্তিগত)।