২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতা

নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতা -

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সোমবার জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতাকে সম্মাননা দেবে সরকার। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেবেন।

রোববার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

যারা সম্মাননা পাচ্ছেন
প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার বরিশালের হাছিনা বেগম নীলা, বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, পটুয়াখালীর হেলেন্নছা বেগম, টাঙ্গাইলের রবিজান ও নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সম্মাননা পাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হবে বলেও জানান ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হলেন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস অধ্যনরত ও একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সফল নারী।

সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন পটুয়াখালী জেলার হেলেন্নছা বেগম। তিনি তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (মানবসম্পদ), মেজ ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এক ছেলে মনোবুশো স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত আছেন।

নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার রবিজান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এছাড়াও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। তিনি নারীদের দর্জি ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৫ সালে মাতৃকেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement