লিপস্টিক বিক্রি করে ২১ বছরে ৯০ কোটি ডলারের মালিক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ মার্চ ২০১৯, ০৬:৩১
মেয়েদের সম্পর্কে কথা হবে অথচ সাজগোজের বিষয় উঠবে না, এমনটা আবার হয় নাকি? অনেক মেয়েই ইদানীংকালে সাজগোজ নিয়ে খুবই সচেতন। তবে এটা জেনে অবাক না হয়ে পারা যায় না যে আমেরিকান মডেল তথা টেলিভিশন সেনসেশন কাইলি জেনর শুধুমাত্র লিপস্টিক বিক্রি করে মাত্র ২১ বছর বয়সে ৯০ কোটি ইউএস ডলারের মালিক হয়েছেন। ফোর্বসের ২০১৯ সালে তৈরি তালিকার ‘ইয়ঙ্গেস্ট সেলফমেড বিলিয়নিয়ার’ সম্মান পেয়েছেন জেনর। ২০১৬ সালে কসমেটিক্সের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। কাইলিকে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় উইমেন ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে জনপ্রিয় ও সফল মহিলা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে কাইলি 'কাইলি লিপকিট' নামের একটি লিপস্টিক লঞ্চ করেছিলেন মাত্র ২৯ ডলারে। খুব দ্রুত তা বিক্রি হয়ে যায়।
মাত্র তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে একটি সংস্থার জন্ম দিয়েছিলেন কাইলি। বর্তমানে এই সংস্থার মূল্য ৯০ কোটি ডলার। এই সংস্থার প্রতিটি সামগ্রীই অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
কাইলি জেনর সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয়। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা সাড়ে সতেরো কোটি। তিনি ইনস্টাগ্রামে সব থেকে বেশি রোজগার করে থাকেন।
ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ মাত্র ২৩ বছর বয়সে কোটিপতি হয়েছিলেন। আর ২০১৯ সালে কাইলি ওই একই শিরোপা পেয়েছেন ২১ বছর বয়সে। তবে জাকারবার্গের আয় এখন কমতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালে তার মোট আয় কমে হয়েছে ৬২.৩ বিলিয়ন ডলার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি। কিন্তু কাইলির আয় ঊর্ধ্বগামী।
কোমায় থাকা কিশোরী জেগে দেখে সে নিজেই মেয়ের মা!
১৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ কিশোরী এবনি স্টিভেনসন। অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যাওয়ার পর যখন জ্ঞান ফিরল তখন তার পাশে ফুটফুটে এক কন্যা শিশু।
ডাক্তাররা যখন স্টিভেনসনকে জানালো যে, এই শিশু তারই কন্যা তখন সে নিজেই ছিল বিস্ময়াভিভূত। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত ওল্ডহ্যাম শহরে সম্প্রতি এই তাক লাগানো ঘটনটি ঘটেছে।
হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ডাক্তাররা আবিষ্কার করেন, স্টিভেনসন সন্তানসম্ভবা এবং পেটের শিশুকে বাঁচাতে হলে তাকে তক্ষুনি পেট থেকে বের করতে হবে।
স্টিভেনসনের মা কিছুতেই এই কথা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ মেয়ের শরীরের গর্ভের কোনো লক্ষণই ছিল না। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে স্বচক্ষে দেখান যে হঠাৎ-হঠাৎ একটুর জন্য কেমন ফুলে উঠে স্টিভেনসনের পেট।
অবশেষে অস্ত্রোপচার হয়। জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা শিশুর এলোডি।
ডাক্তাররাও খুব অবাক হয়েছিলেন এই জেনে যে, যিনি গর্ভবতী তিনি নিজেই সেই কথা জানতেন না! এমনকি গর্ভবতী নারীদের পেট যেভাবে ফুলে উঠে তেমন কিছু্ও দেখা যায়নি স্টিভেনসনের শরীরে।
স্টিভেনসনের মাসিক-ও হয়েছে প্রতিমাসে, নিয়মিত। তাহলে এই শিশু কিভাবে জন্ম নিলো!
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, এই অবস্থাটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় 'ইউটেরাস ডিডালফিস'।
ডাক্তাররা বলেছেন, স্টিভেনসনের ছিল দুটি জরায়ু। সামনের জরায়ুটি থেকে প্রতিমাসে মাসিক হয়েছে। আর সামনের জরায়ুর পেছনে লুকিয়ে থাকা দ্বিতীয় জরায়ুতে বেড়ে উঠেছে এই শিশু।
ফলে, গর্ভাবস্থায় তার পেট-ও বড় হয়নি। শুধু মাঝে মাঝে সকালবেলায় স্টিভেনসনের একটু দুর্বল লাগতো। এছাড়া আর কিছুই টের পাননি তিনি। তাই, সন্তান সম্ভবা হবার পরেও বিষয়টি থেকে গেছে স্বয়ং গর্ভবতীরই জানার বাইরে।
নিজের মেয়েকে এখন সে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে বলে জানিয়েছেন স্টিভেনসন। প্রথমবার কোনো কিছু না জেনে-বুঝেই মা হওয়া এই কিশোরী তার মেয়ের নাম রেখেছেন এলোডি।
সূত্র : বিবিসি