১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

হ্যান্ডশেকে শুরু, ভয়ঙ্কর নেতা আখ্যায়িত করে শেষ ট্রাম্প-হ্যারিস বিতর্ক

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছেন। যেখানে হ্যান্ডশেক দিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক এবং শেষ হয় একে অপরকে ভয়ঙ্কর নেতা আখ্যায়িত করার মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এই বিতর্কে মুখোমুখি হন তারা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক হ্যান্ডশেক দিয়ে শুরু হয়েছিল। এবং এটি শেষ হয় প্রার্থীরা একে-অপরকে ভয়ঙ্কর নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করার মাধ্যমে। যেখানে তারা একে-অন্যকে নির্বাচিত হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন।

এতে আরো বলা হয়, হ্যারিস-ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এই বিতর্ক ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে। যেখানে তাদের বিতর্ক রাষ্ট্রনীতির চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণেই ভারী ছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিতর্কে ট্রাম্প হ্যারিসকে একজন দূর-বাম প্রার্থী হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, হ্যারিস উন্মুক্ত-সীমান্ত নীতি অনুসরণ করবেন, ফ্র্যাকিং নিষিদ্ধ করবেন এবং জনগণের বন্দুক বাজেয়াপ্ত করবেন।

এছাড়া ট্রাম্প তার বক্তব্যে হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। একইসাথে হ্যারিস-বাইডেনকে একই ধরনের রাজনীতিবিদ হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

এদিকে বিতর্কে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন কমালা হ্যারিস। তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেন’। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার ‘লাঞ্চে’ ট্রাম্পকে ‘খেয়ে ফেলবেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিতর্কে ট্রাম্প জো বাইডেনকে অনুপস্থিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে সমালোচনা করেন এবং এর জবাবে হ্যারিসও পাল্টা আঘাত করেন। কমালা বলেন, ‘আপনি বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, আপনি আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’

এদিকে এবারের মার্কিন নির্বাচন খুব আলোচিত। হয়েছে অনেক পট-পরিবর্তনও। শুরুর দিকে তীব্র সমালোচনার মুখে প্রার্থিতা ছাড়তে বাধ্য হন বাইডেন। পরে তার জায়গায় এলেন কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে একটি সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর হামলাও করা হয়। এতে হামলাকারীর গুলিতে বেঁচে গেলেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট নাকি দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্প তা-ই দেখার অপেক্ষা।

দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের হিসাবে উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ায় অল্প ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস। তবে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে যেতে পারে চার অঙ্গরাজ্যে দু’জনের অবস্থান নিয়ে। ধোঁয়াশায় থাকা অঙ্গরাজ্য নেভাদা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও অ্যারিজোনায় প্রার্থীর অবস্থানই নির্বাচনে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement