১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

হাসিতে মুগ্ধ হয়ে কমলা হ্যারিসকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখতে চান পুতিন

হাসিতে মুগ্ধ হয়ে কমলা হ্যারিসকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখতে চান পুতিন - ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সরগরম যুক্তরাষ্ট্র। জোর কদমে চলছে ভোটের প্রচার। এবার লড়াই ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সাথে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইতোমধ্যেই কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা। আর বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্তরসূরি হিসেবে কমলাকেই পছন্দ করলেন ভ্লাদিমির পুতিন। কারণ এই ডেমোক্রেট নেত্রীর হাসিতেই যে মুগ্ধ হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট!

চলতি বছরের নভেম্বরে ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। নির্বাচনের দামামা বাজতেই ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হিসেবে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু মাঝপথে ভোটের ময়দান থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোয় ডেমোক্রেট প্রার্থী নির্বাচিত হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ট্রাম্পের থেকে খানিক হলেও পাল্লা ভারী কমলারই। এবার তার নাম শোনা গেল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের গলাতেও।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক শহরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পুতিনের কথায় উঠে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ। তখনই তিনি বলেন, ‘জো বাইডেনের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। তার উত্তরসূরি হিসেবে আমার সমর্থন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দিকে থাকবে। আর ওর হাসি খুব সুন্দর। এই হাসি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কমলার হাসিই বুঝিয়ে দেয় যে তার জন্য সবকিছু ভালোই হবে।’

তবে এই নেত্রীকে পুতিনের সমর্থন জানানোর আরো কারণ রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রগুলোর ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিনের বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘কমলা হ্যারিসের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। যার অর্থ, তিনি হয়তো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। তবে শেষ সিদ্ধান্ত জনগণের হাতেই। তারাই রায় দেবেন।’

এর আগে একাধিকবার পুতিন উল্লেখ করেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পই সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন মস্কোর ঘাড়ে।

বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে সামিল ছিলেন তখন তাকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ফের বাইডেনকেই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। বাইডেনের দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার জন্যই তাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পরই ক্ষোভ নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমার সাথে পুতিনের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উনি আমাকে চান না। বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। বাইডেন তো তাকে ইউক্রেন দিয়ে দিয়ে দেবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলাকে এগিয়ে রাখায় ফের পুতিনের বিরুদ্ধে সরব হবেন ট্রাম্প। এখন দেখার বিষয় ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে কমলা ক্ষমতায় এলে রাশিয়ার সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভালো হবে? নাকি ট্রাম্প গদিতে বসলে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলবে মস্কোর ঘাড়ে? এর উত্তর আগামী দিনেই মিলবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement
বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বৃষ্টিতে ভাসবে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট! মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত ভারতের ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার দিকে আরো এক ধাপ এগুলো ভারত! সেই আফগানিস্তানের কাছে শোচনীয় হার দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনূসের সাথে সাক্ষাত হচ্ছে না মোদির লেবাননে পেজারের পর ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে নিহত ২০, আহত ৪৫০ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’

সকল