০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫
`

বৃদ্ধ হয়ে গেছেন- বাইডেনকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে গুঞ্জন

বৃদ্ধ হয়ে গেছেন- বাইডেনকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে গুঞ্জন - ফাইল ছবি

তিনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। আগামী নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অথচ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তথা এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসা জো বাইডেনের সুস্থতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, ৮১ বছরের নেতা নাকি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্তই সবচেয়ে ভালো কর্মক্ষম থাকেন। এর বাইরে বাকি সময়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বিদেশ সফরে গেলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে না। হোয়াইট হাউস সূত্রেই এমন গুঞ্জন ভাসতে শুরু করেছে।

বলা হচ্ছে, শারীরিক ক্লান্তি, পাশাপাশি অন্যমনস্কতা ও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যাও রয়েছে বাইডেনের। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সভায় ভাষণ দেয়ার সময় বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলতে দেখা গিয়েছে বাইডেনকে। এই অবস্থায় ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’ অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তিনি যেভাবে বেকায়দায় পড়েছিলেন তাও নজর এড়ায়নি কারো। ডেমোক্র্যাটরা পুরোপুরি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাইডেনকে দেখে। তাদের মতে, বাইডেনকে দেখতে ও শুনতে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। যেন তিনি সম্পূর্ণ বেমানান!

সম্প্রতি সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওয় মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প ও বাইডেন। সেখানে দেখা যায়, বাইডেন মোটেই স্বচ্ছন্দ নন। সুযোগ বুঝে সেই প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্পও খোঁচা দিয়েছেন। তার মতে, 'আমি সত্যিই বুঝিনি উনি একটি বাক্যের শেষে কী যেন বললেন! এবং আমি নিশ্চিত উনি নিজেও বোঝেননি।' গুঞ্জন, যেহেতু রাত ৯টায় বাইডেন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন, তাই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার ‘পারফরম্যান্স’ ভালো থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্তই। যত সময় গড়ায়, ততই তিনি অসংলগ্ন হয়ে পড়েন।

এত বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছেন বাইডেনও। নর্থ ক্যারোলিনায় এক সভায় তাকে বলতে শোনা গেছে, 'আমি জানি, আমি তরুণ নই। আমি আর তেমনভাবে হাঁটতে পারি না, যেমনটা পারতাম। কথাও তেমনভাবে বলতে পারি না, যেমন বলতাম। আমি বিতর্কও আর আগের মতো পারি না। কিন্তু এটা আমি জানি, সত্যি কী করে বলতে হয়।'

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যতই বাইডেনর নিজের সপক্ষে যুক্তি দিন, যত সময় যাচ্ছে ততই প্রশ্নটা জোরালো হতে শুরু করেছে। এমন শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় কেউ কি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন?
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement